আবু হাসান (আকাশ), লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের
পাটগ্রাম উপজেলার তিনবিঘা করিডোর এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে
দহগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখায়র ২ কিলোমিটার জায়গায় কাটা তারের বেড়া
দেওয়ার ৬ দিন পর এবার খালি বোতল ঝুলিয়ে দিল বিএসএফ। এতে বিজিবি বাধা দিলে
তাদের বাধাকে উপেক্ষা করে বোতল ঝুলাতে থাকে। এতে আবারো আতঙ্ক দেখা দিযেছে
গ্রামবাসীর মাঝে।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারী) দুপুর ১২টায় দহগ্রাম সীমান্তের সরকার পাড়ার এলাকার বাংলাদেশ-ভারত প্রধান ৪১ নং পিলার এলাকায় ভারতীয় বিএসএফ খালি বোতল ঝুলিয়ে দেন । এতে মানুষের মাঝে আবার ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপর দিকে বাংলাদেশি বিজিবি টহল রয়েছে।
জানা
যায়, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গোরপোতার সরকার পাড়া সীমান্তে সীমান্ত
রক্ষী বাহিনী বিএসএফ শূন্যরেখা কাঁটাতারের স্থানে ভারী অস্ত্র নিয়ে টহল
জোরদার করেন। সন্ধ্যার পর থেকে উচ্চ মান সম্পূর্ণ লাইট ব্যবহার করে
সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। এতে সীমান্ত বাসী আতঙ্কিত রয়েছে। এর আগে গত
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে শূন্যরেখায়
বাংলাদেশ-ভারত প্রধান পিলার উপ-পিলার ৩৭ থেকে ৪৭ নম্বর পিলারের প্রায় দুই
কিলোমিটারের মধ্যে ভারতিয় বিএসএফ লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি খুঁটির মধ্যে
প্রায় ৪ ফুট উচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে। এতে বিজিবি বিএসএফের মধ্যে
উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘটনার ৬ দিন পর বুধবার
দুপুর ১২টায়র দিকে ভারতীয় বিএসএফ আবারও সেই কাঁটাতারের বেড়ায় বোতল
ঝুলিয়ে দেয়। পরে বিজিবি ও সাধারণ মানুষ বাধা দিলে বিএসএফ কিছু অংশে বোতল
ঝুলিয়ে দিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় আবারও সীমান্তের সাধারণ মানুষের মাঝে
আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা
জানান, ভারতীয় বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে এমনি আমরা আতঙ্কে আছি। এর
মধ্যে হঠাৎ কাটাতরের বেড়ায় বোতল ঝুলিয়ে দিচ্ছে এতে আমরা নতুন করে
আতঙ্কে পরছি। বেড়া দেওয়ার পর থেকে তাদের টহল জোরদার করেছে। এখন আমাদের
দাবি এই এলাকায় তিনটি বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন ও টহল জোরদার হলে আমাদের
আতঙ্ক কাটবে।
রংপুর ৫১ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্নেল সেলিম আল দিন বলেন, এটি নতুন কোন স্থাপনা নয়। বেড়াটি প্রটেকশনের জন্যই তারা বোতল ঝুলিয়ে দিয়েছে। যদি কেউ রাতের আঁধারে বেড়া তুলে নিয়ে যায় সেজন্য তারা শূন্যরেখায় বেড়া দিয়ে নিজেই টেনসনে আছেন তাই তারা এই প্রটেকশনটি ব্যবহার করেছেন।