info@desherkhabor24.com

+8801821554477

ঢাবিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা ও আমাদের দায়’ শীর্ষক সেমিনার

image for ঢাবিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা ও আমাদের দায়’ শীর্ষক সেমিনার

ঢাবি প্রতিনিধি:
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘বিদ্রোহ থেকে বিনির্মাণের এক বছর : জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা ও আমাদের দায়’ শীর্ষক এক সেমিনার আজ ০৩ জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ ও উদযাপনের অংশ হিসেবে মাসব্যাপী সেমিনার সিরিজের এটি প্রথম সেমিনার।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান। সেমিনারে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জুলাই গণ-আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এদেশের ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এবং অনেকে নিহত ও আহত হয়েছেন। এই আন্দোলনের সময় আমরা জানতাম না ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হবে কি-না। দেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের বিষয়টি একাডেমিক পর্যায়ে আলোচনার জন্য সব প্রতিষ্ঠানকে এক হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা সমাজ ও সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চাই।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রায় দেড় দশকের এক ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে। এটি শুধু একটি সরকারের পতনের বার্ষিকী নয়, বরং একটি জাতির গণতান্ত্রিক চেতনার পুনর্জাগরণের বার্ষিকী। বাংলাদেশের ইতিহাসে জনগণ বারবার সাহস, ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার প্রমাণ দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন এই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতারই একটি অংশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল একটি অনিবার্য এক রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসন ছিল এক কেন্দ্রীভূত কর্তৃত্ববাদী শাসনের দৃষ্টান্ত। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে ব্যতিক্রমী এক সামাজিক ও রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের উদাহরণ হয়ে থাকবে। যুব নেতৃত্ব এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল। জন-আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলা, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা দূর করা, অর্থনৈতিক ন্যায্যতা ও নীতি সংস্কার, নাগরিক আস্থা পুনর্গঠন এবং গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।