ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ৮ জন শিক্ষার্থী
‘আয়েশা-আমিরুল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি’ লাভ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আজ ০৪ আগস্ট ২০২৫ সোমবার নবাব নওয়াব
আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী’র
সভাপতিত্বে¡ অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন
আহমেদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বিশেষ অতিথি
হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব কাজী রওশন
আক্তার স্বাগত বক্তব্য দেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন
আহম্মদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান
বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ আর্থিক অনটন ও অসচ্ছলতার মধ্যে রয়েছে। এই
পরিস্থিতিতে ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি প্রদানের কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্ব বহন
করে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত প্রোফাইল ও সিভি তৈরির ক্ষেত্রেও এই
বৃত্তিপ্রাপ্তির তথ্য উল্লেখ করার মতো বিষয়। এ ধরনের বৃত্তি প্রদান সমাজে
ভালো উদাহরণ তৈরি করে। বিশ^বিদ্যালয়ের সঙ্গে সমাজ ও দাতা পরিবারের
সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। যে কোন মূল্যে আমরা এই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে
চাই। শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির গুরুত্ব বুঝে সমাজের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে বলে
তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেনÑমৃত্তিকা, পানি
ও পরিবেশ বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া ইসলাম এবং মো.
হাবিবুর রহমান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জিদনী হোসেন
বন্যা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আতিয়া সিনহা রশনী,
প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার
সাদিক, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবা ইসলাম, অণুজীব
বিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মায়েদা জান্নাত মিথিলা এবং জিন
প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল মাজেদ বিন
সাঈদ।
উল্লেখ্য, পিতা-মাতার স্মৃতি রক্ষার্থে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব
কাজী রওশন আক্তার ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে এই ট্রাস্ট ফান্ড গঠন
করেন। এই ট্রাস্ট ফান্ডের আয় থেকে প্রতি বছর জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভিন্ন
বিভাগের কয়েকজন মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে এককালীন ৬ হাজার টাকা করে
বৃত্তি দেয়া হয়। বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট
প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়।