info@desherkhabor24.com

+8801821554477

ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ভুয়া ঔষধ-স্কিন কেয়ার প্রস্তুতকারী ল্যাব সিলগালা, ম্যানেজার কারাগারে

image for ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ভুয়া ঔষধ-স্কিন কেয়ার প্রস্তুতকারী ল্যাব সিলগালা, ম্যানেজার কারাগারে

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে নকল ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রী প্রক্রিয়াজাত করণ কারখানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। এ সময় বিভিন্ন কোম্পানীর নামে প্যাকেটজাত করা বিপুল পণ্য জব্দ করা হয়। সেগুলো নকল বিএসটিআই লোগো ও কোম্পানীর নামে প্যাকেট করে বাজারজাত করা হতো। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কোম্পানীর ম্যানেজার রিয়াজ শিকদার (২৬)কে একমাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ঔষধ ও প্রসাধনী সামগ্রী আইনে মামলা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। 


রোববার ( ৬ জুলাই) বিকেলে শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে একটি ৩ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, কোতয়ালী থানা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি ও জেলা ড্রাগ সুপার মো. রোকনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।


মানব শরীরের ব্রনসহ চর্মজনিত সমস্যার ওষধ তৈরি করে প্যাকেটজাত করা হতো এখানে। এছাড়া শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, বডিওয়াশ, সাবান, শিশুদের ব্যবহৃত সাবান তৈরিসহ অসংখ্য পণ্যে ও কেমিক্যাল সামগ্রীও রয়েছে। এখান থেকে কিটোজেল, পারনিক্স, পারকিট সহ অসংখ্য নামি-বেনামি কোম্পানীর প্যাকেটজাত করা হতো।
স্থানীয় ও অভিযান সুত্রে জানা যায়, পশ্চিম খাবাসপুর মাওলানা আব্দুল আলিম সড়কের রহিমের মোড় এলাকায় নাম জুয়েল নামের এক ব্যক্তির ভাড়াটিয়া মাহফুজুর রহমান শিপন (৩৫)  নয় মাস আগে বাসাটি ভাড়া নেন। এরপর থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে এসব কর্মকান্ড শুরু করেন। অভিযানের সময় তিনি পালিয়ে যান। শিপন বাড়ি জেলার সদরপুর উপজেলার বেপারীডাঙ্গী এলাকায় বাসিন্দা।


জেলা ড্রাগ সুপার মো. রোকনুজ্জামান জানান, দুই ইউনিট ভাড়া বাসায় অবৈধ কারখানা গড়ে তুলেন। কারখানাটিতে লাইসেন্স বা ঔষধ উৎপাদনের কোনো বৈধতা নেই। সেক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসন আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, যেহেতু কোনো অনুমোদন ছাড়াই ঔষধসহ এসব উৎপাদন করে আসছিলেন সেক্ষেত্রে এগুলো নিম্মমানেরও হতে পারে এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। তবে এগুলোর নমুনা নিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে গুনগত মান পরীক্ষা করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি জানান, অবৈধভাবে পণ্য উৎপাদন করায় আটক একজন কর্মচারীকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারা মোতাবেক এক মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া মালিকের বিরুদ্ধে ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ এর ১৪(১) ধারা মোতাবেক মামলা করার জন্য ড্রাগ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এর সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।