info@desherkhabor24.com

+8801821554477

হত্যা মামলায় দাফনের দেড় মাস পর ঠিকাদারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

image for হত্যা মামলায় দাফনের দেড় মাস পর ঠিকাদারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে হত্যা মামলার পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ঠিকাদার সৈয়দ তুহিন হাসানের (৪৫) মরদেহ। মৃত্যুর দেড় মাস পর বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর পৌর কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়।


নিহত সৈয়দ তুহিন হাসান জেলার ডাসার উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল হোসেনের বড় ছেলে এবং সে দীর্ঘদিন যাবত মাদারীপুর শহরের বাগেরপাড় এলাকায় বসবাস করত। 


নিহতের পরিবার জানান, এবছরের ৩১ জুলাই নির্মানাধীন মাদারীপুর শিক্ষা প্রকৌশলী ভবনের দ্বিতীয় তলায় রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ঠিকাদার সৈয়দ তুহিন হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন মৃত্যুটি হৃদযন্ত্র ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে ধরে নেয়া হয়। পরের দিন ১ আগস্ট মাদারীপুর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু দাফনের কয়েকদিন পরে নির্মানাধীন ভবনের প্রহরী তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারকে জানান। পরে তুহিনের পিতা সৈয়দ আবুল হোসেন বাদী হয়ে মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল আদালতে ৬ আগস্ট সাত জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় আদালত নিহত তুহিনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তুহিনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এঘটনায় ন্যায় বিচার দাবী করেছে নিহতের পরিবার। 

এব্যাপারে নিহত তুহিনের পিতা সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, প্রথমে তুহিনের মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে প্রচার করা। পরবর্তীতে ওই ভবনের এক প্রহরীর কথা বার্তায় সন্দেহ হয়। পরে পরিবারের সন্দেহ ও কিছু আলামতের ভিত্তিতে স্থানীয় আদালতে একটি হত্যা মামলা করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতে আদালতের আদেশে লাশ উত্তোলন করা হয়। আমি ন্যায় বিচার দাবী করি। এঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি দাবী করছি।’

এব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্যে মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান প্রয়োজনীয় সকল কাজ শেষ করে পুনরায় মরদেহটি কবর দেয়া হবে।’