আবু হাসান (আকাশ), লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের
হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে লাখ
লাখ টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়েছেন শিপন নামের এক যুবক। তার এই প্রতারণার
ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ
ঘটনায় গত ৬ অক্টোবর সোমবার বড়খাতা এলাকার মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে
আব্দুল আলিম বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত
অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন পূর্ব সারডুবী
গ্রামের মজগার আলীর ছেলে শিপন (২৫),মৃত জাফর আলীর ছেলে মজাদার আলি(
৫০),মজগার আলীর স্ত্রী শেফালী বেগম (৪৫)ও শিপন এর স্ত্রী মিম (২৩)।
অভিযোগ
ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,পূর্ব সাড়ডুবী এলাকার বাসিন্দা শিপন দীর্ঘদিন
ধরে নিজেকে বিদেশে লোক পাঠানোর এজেন্সিতে চাকুরী করেন বলে পরিচয় দিতেন।
মালয়েশিয়া দুবাই ও সৌদি আরবে চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে তিনি
একাধিক যুবকের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হাতীয়ে নেন।
সেই সুত্র ধরে স্থানীয় সোহেল রানাকে সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে বিভিন্নভাবে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
প্রথমে
বিশ্বাস অর্জনের জন্য ভুয়া কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিংয়ের আশ্বাস দেখালেও
টাকা নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নাটক। একপর্যায়ে শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে
যায়, আর নিজ বাড়িতেও খোঁজ পাওয়া যায় না। একাধিকবার তার পরিবারের সাথে
ভুক্তভোগী যোগাযোগ করলেও তার কোন খোজ পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী
সোহেল রানা বলেন,সে আমাকে বিদেশে পাঠাবে বলে বড় স্বপ্ন দেখিয়েছিল। আমরা সব
টাকা দিয়েছি। এখন দেখি সে টাকা নিয়ে উধাও। আমরা এখন নিঃস্ব। গত নয় মাস ধরে
সে গ্রামেও আসেনা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, শিপনের এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে মানুষ ক্ষুব্ধ। ভুক্তভোগীদের এ বিষয়ে আইনিপদক্ষেপ নিতে বলেছি।
এবিষয়ে
জানতে চাইলে প্রতারক শিপন বলেন, তাদের সাথে আমার যা লেনদেন ছিলো তা আমি
আমার কম্পানীর বস গোলজার কে দিয়েছি উনি টাকা ফিরত না দিলে আমি কিভাবে দেই।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদন নবী বলেন বিষয়টির তদন্ত চলছে খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিপনের
উধাও হয়ে যাওয়ায় পুরো এলাকায় চলছে তীব্র আলোচনার ঝড়। স্থানীয়রা প্রশাসনের
দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যেন প্রতারক যুবককে গ্রেপ্তার করে
ভুক্তভোগীদের অর্থ ফেরত দেওয়া যায়।