নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর
বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১৫তম ব্যাচের ছাত্রীকে(২১) সিএনজি
চালিত অটোরিকশাতে চোখে রাসায়নিক দ্রব্য লাগিয়ে হেনস্তা ও শ্লীলতাহানি করে
ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। এসময় আসামিদের কাছ
থেকে একটি মোটরসাইকেরল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো,
উপজেলার নাজিরপুর এলাকার রাজুর ছেলে রবিন (২০) ও আলাইয়াপুর ইউনিয়নের শহীদুল
ইসলামের ছেলে আরাফাত হোসেন অন্তর (২৩)।
শুক্রবার (১৪ মার্চ)
বিকেলের দিকে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি
কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য
নিশ্চিত করা হয়। এর আগে, একই দিন দুপুরের দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার
নাজিরপুর এলাকার নূর হোসেনের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১২ মার্চ নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
কলেজে ইফতার মাহফিল শেষে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মাইজদী বাসায় যাওয়ার
উদ্দেশে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিতে ওঠে কলেজের ১৫তম ব্যাচের ছা ওই ছাত্রী।
কিছু পথ যাওয়ার পর সিএনজির ভিতরে থাকা ৫ জন পুরুষের মধ্যে একজন তার মুখ
চেপে ধরে বাকি ৪ জন ভিকটিমের কোলে বসে পড়ে। কিছুক্ষণ পর আরও ১ জন সিএনজিতে
ওঠলে সবাই মিলে ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা ও শ্লীলতাহানি করে তার চোখে
রাসায়নিক দ্রব্য লাগিয়ে দেয়। এসময় তারা ছাত্রীর ব্যাগ থেকে টাকা, একটি
এটিএম কার্ড ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়। মোবাইলের পাসওয়ার্ড ও বিকাশের
পাসওয়ার্ড দিতে বাধ্য করে ছাত্রীকে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা
হয়েছে,অভিযুক্ত ভিকটিমকে সিএনজি করে কলেজ গেইট থেকে একলাশপুর বাজার পর্যন্ত
প্রায় আধা ঘন্টা ইউটার্ন নিয়ে একাধিবার ঘুরাতে থাকে এবং অসৎ উদ্দেশ্য
চরিতার্থ করার জন্য নির্জন স্থান খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ভিকটিমকে
একলাশপুর বাজারের উত্তর পার্শ্বে সিএনজি থেকে নামিয়ে নির্জন স্থানে নেওয়ার
চেষ্টা করলে ভিকটিম শোর চিৎকার দেয়। পরে লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে ভিকটিমকে
রেখে আসামিরা সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পালিয়ে যায়।
র্যাব-১১,
সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার
কুণ্ডু আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা
ব্যক্তিদের আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বেগমগঞ্জ মডেল থানায়
একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে। তাদের বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে, অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে
চেষ্টা চলছে।