info@desherkhabor24.com

+8801821554477

মাদারীপুরে দুইবোনকে লাঠিপেটাা ভিডিও ভাইরাল, মামলা নিতে গড়িমসি

image for মাদারীপুরে দুইবোনকে লাঠিপেটাা ভিডিও ভাইরাল, মামলা নিতে গড়িমসি

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুইবোনকে প্রকাশ্যে লাঠিপেটার অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবি ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে মারপিটের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে পুলিশ মামলা নিতে গরিমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে রবিবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার সাথে প্রতিবেশি অ্যাডভোকেট ফরহাদ মোল্লার (৪০) জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে আবুল কাশেম চাষাবাদের জন্য গেলে তার সাথে তর্কাতর্কি হয় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে প্রতিপক্ষের সাথে। পরে আবুল কাশেম মোল্লার দুই মেয়ে রেশমা আক্তার (২৭) ও তার বড়বোন আসমা আক্তার (৩৮) বিষয়টি জানতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় ফরহাদ ও তার ছোটভাই হুমায়ুন মোল্লা (২৫)। একপর্যায়ে দুইবোনকে লাঠিশোটা দিয়ে বেদম মারধর করে অভিযুক্ত দুইভাই। পরে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরইমধ্যে প্রকাশ্যে জমিতে দুই নারীকে মারপিটের ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। গত দুইদিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়েও মামলা রেকর্ড করাতে পারেনি ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে রবিবার সকালে হামলার ঘটনায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করতে গেলে অ্যাডভোকেট ফরহাদ মোল্লার তোপের মুখে আদালতেও মামলা দায়ের করতে পারেননি।পরে ন্যায় বিচারের স্বার্থে রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিতা নারী রেশমা আক্তার বলেন, আমি থানায় মামলা করতে গিয়েছি পুলিশ মামলা নেয়নি।পরে আদালতে মামলা করতে গেলে আদালত থেকে অ্যাডভোকেট ফরহাদ মোল্লা আমাদের বের করে দিয়েছে। অন্য উকিলরাও মামলা করতে রাজি হয়নি। উকিলদের দাবী কোন উকিলের বিরুদ্ধে মামলা হবে না। আমি একজন নারী, আমাকে মারধর করেছে। আমি কি এর বিচার পাবো না?

এদিকে মুঠোফোনে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছের অভিযুক্ত ফরহাদ মোল্লা ও তার ভাই হুমায়ুন মোল্লা। তাদের দাবি, হাতাহাতি হলেও কোন মারপিট করা হয়নি কাউকেই। উল্টো আমাদের মারধর করে পোশাক ছিঁড়ে ফেলছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. আল মামুন মামলা নিতে গরিমসি করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’