বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
পরিবেশকে
বাঁচাতে হলে আমাদেরকে নবায়নযোগ্য শক্তি নির্ভরতা বাড়াতে হবে আর এই তরুণরাই
আগামী দিনের চালিকা শক্তি । ইনিশিয়েটিভ ফর রাইট ভিউ (আইআরভি), জাস্ট
এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এবং একশনএইড বাংলাদেশর -এর আয়োজনে
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও তারুণ্য" বিষয়ক তিন দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতা
অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের নবায়নযোগ্য শক্তি বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুন্দরঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রামপ্রসাদ মন্ডলের সভাপতিত্বে
প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সুরক্ষা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক -
মাহাবুবুর রহমান লিটন , সহ-সভাপতি মোল্লা মনিরুজ্জামান,সিনিয়র শিক্ষক
আনারুল শাহাদাত, সহকারী শিক্ষক সাহিদা পারভীন, সহকারী শিক্ষক সৌমিত্র কুমার
বসু, সহকারী শিক্ষক জিএম জামাল হোসেন, সজীব মেহেদী পারভেজ, ফেরদৌস
পারভেজ, জাহিদুল ইসলাম ও মলিনা সরকার, দিলারা বেগম,
কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর অনুপম রায়সহ
ইনিশিয়েটিভ ফর রাইট ভিউ(আইআরভি),ফিল্ড কোর্ডিনেটর হাসান মাহমুদ জসিম৷ এছাড়া প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সুন্দরঘোনা
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা কাজী দোলা বলেন,আমরা কিন্তু এখনো
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিতেই সিংহভাগ নির্ভর করছি। কিন্তু
জলবায়ু ও সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করতে হলে আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানি নয়,
বরং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দিতে হবে। এটা ঠিক, বাংলাদেশও উন্নত হচ্ছে,
অর্থনীতিও এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের জলবায়ু-সংকট আছে। এর সঙ্গে
মূল্যস্ফীতি, ডলার এবং সম্প্রতি বিদ্যুৎ-সংকটও যোগ হয়েছে। আর জীবাশ্ম
জ্বালানিনির্ভর ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে আমাদের আবার হাজার কোটি
টাকা গচ্চাও যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতেও।
ফিল্ড
কোর্ডিনেটর হাসান মাহমুদ জসিম বলেন , এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের মূল
উদ্দেশ্য তরুণদের যুক্তিভিত্তিক চিন্তাভাবনা গড়ে তোলা এবং নবায়নযোগ্য
জ্বালানির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা। আর প্রতিযোগিতা শুধু বিতর্ক ছিল না,
এটি ছিল ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রস্তুতি, যেখানে তরুণদের কণ্ঠে উঠে এসেছে
টেকসই উন্নয়নের স্বপ্ন।
সুরক্ষা
নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক - মাহাবুবুর রহমান লিটন বলেন, যুক্তিবাদী ও
সচেতন তরুণদের গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারাই আগামী দিনে দেশের
নীতি-নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীদের যুক্তি উপস্থাপনের দক্ষতা
দেখে বিচারকরা অভিভূত হন এবং ভবিষ্যতে এই বিতর্ক জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে
ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী দল এবং শ্রেষ্ঠ বক্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।