info@desherkhabor24.com

+8801821554477

দরপত্র ছাড়াই বিক্রি করা হলো আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪০টি ঘর

image for দরপত্র ছাড়াই বিক্রি করা হলো আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪০টি ঘর

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুরের আশ্রয়ন প্রকল্পের (গুচ্ছগ্রাম) ৪০টি ঘর দরপত্র ছাড়াই পানির দামে বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয় তিন প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে হতদরিদ্র পরিবারগুলো এই ঘর বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন ঐ অসহায় মানুষগুলো। এ ব্যাপারে মুখ খুলতেও ভয় পাচ্ছেন আশ্রয়ন প্রকল্পের মানুষগুলো।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে সরকারের পক্ষ থেকে হতদরিদ্রদের জন্য মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুরে একটি আশ্রয়ন প্রকল্প (গুচ্ছগ্রাম) নির্মাণ করা হয়। লোহার অ্যাঙ্গেলের কাঠামোর ওপর টিনের ছাউনি ও বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয় ঘরগুলো। চারপাশের ভিত্তি পাকা ও মেঝে মাটির ছিলো। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই সেখানে নতুন করে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে নতুন ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শুরুও হয়েছে। এই সুযোগে অসহায় মানুষদের চাপ প্রয়োগ করে পানির দরে ঘরগুলো বিক্রি করতে বাধ্য করেন খোঁয়াজপুর ইউনিয়নের আজিজুল আকন, নজরুল সরদার ও জাকির হোসেন নামে স্থানীয় প্রভাবশালী তিন ব্যক্তি। ঐ তিন ব্যক্তির কাছে ৪০টি ঘর বিক্রি করা হয় মাত্র তিন লাখ টাকায়। হাতেগোনা কয়েকজন ৩ হাজার ৭৫০ টাকা করে পেলেও বাকিরা ঘর বিক্রির টাকা পাননি। আবার অনেকেই ঘর বিক্রির বিষয়টি জানেনও না বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।


নাম না প্রকাশে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী আজিজুল আকন, নজরুল সরদার ও জাকির হোসেন আমাদের জোর করে ঘর বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন। আমরা ঘর বিক্রি করতে চাইনি। এই ঘর সরকারের, যা করার সরকারের পক্ষ থেকেই করবে। তাছাড়া ওরা কয়েকজনকে অল্প কিছু টাকা দিলেও বেশি ভাগই ঘর বিক্রির টাকা পাননি। সকাল থেকে ঘরগুলো খুলে নেয়া হচ্ছে। এতে করে আমরাও গৃহহীন হয়ে পড়েছি। অনেকেই ঘর ভাড়া করেছেন। আবার অনেকেই ঘর ভাড়া করতে পারেনি। আমরা গরীব-অসহায়, আমাদের কি করার আছে।


অভিযুক্ত নজরুল সরদার বলেন, যারা এখন অভিযোগ করছেন, তারা ঠিক বলেননি। সবার সম্মতিতেই ঘরগুলো কেনা হয়েছে। কেনার পর ঘরগুলো অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা শাবাব বলেন, এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।