নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী
পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় পৌরসভার
মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান পৌরসভা কার্যালয়ে
ছিলেন না।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আতংগ্রস্থ হয়ে পড়েন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
স্থানীয়রা
জানায়, বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
অনেকেই দিনের কাজ শেষ করে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এমন সময় দেখেন ১৫ থেকে ১৬
জনের একদল তরুণ অতর্কিতে পৌরসভা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মেয়রের কক্ষের সামনের
ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীরা মেয়রের কক্ষের দুইটি জানালা এবং নিচ তলার সিঁসির
পাশের ডিজিটাল সেন্টারের একটি জানালা ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া ভাঙচুর করেন
দুইটি সিসিটিভির ক্যামেরা। অল্পকিছু সময়ের মধ্যে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল
ত্যাগ করেন।
মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল
সাংবাদিকদের বলেন, হামলার ঘটনার অল্পকিছুক্ষণ আগে তিনি কার্যালয় থেকে
বেরিয়েছেন। হামলাকারীরা তাঁর কক্ষের দুইটি জানালাসহ চারটি জানালার কাঁচ
ভাঙচুর করেছে। এ ছাড়া দুইটি সিসিটিভির ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি
ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ি করেছেন।
যোগাযোগ করা
হলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, পৌরসভার হামলার ঘটনায়
বিএনপির দলীয় কেউ জড়িত ছিল না। তিনি এ হামলার জন্য জেলা বিএনপির সাবেক
সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আজাদ ও তার অনুসারীরা ওই হামলার ঘটনায় জড়িত
বলে মন্তব্য করেন। আজাদ আন্দোলন সংগ্রামের সময় ছিলোনা বলেও তিনি উল্লেখ
করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে হারুনুর রশিদের
মুঠেোনে ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে
তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সুধারাম থানার
পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, তিনি পৌরসভা কার্যালয়ে হামলার
কথা শুনেছেন। পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিবেন।