ঢাবি প্রতিনিধি:
‘ডিজিটাল বুদ্ধিমত্তা এবং স্থানীয়করণের সংযুক্তি-বাংলাদেশে চীনা ভাষা শিক্ষার উচ্চমানের উন্নয়নের যাত্রা
(Integration of Digital Intelligence and
Localization—Pathways to High Quality Development of Chinese Language Education
in Bangladesh)’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে চীনা ভাষা শিক্ষা বিষয়ক ৫ম ফোরাম
(The 5th Forum on Chinese Language Education in
Bangladesh) আজ ১৬ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান
আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা।
এসময়
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের
পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিসিএস
প্রশাসন একাডেমির এমডিএস (উন্নয়ন ও গবেষণা) ও যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামান ও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইয়ং হুই
(Dr. Yang Hui) । স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবছার কামাল।
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের
কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ও শান্ত-মারিয়াম-হোংহো কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের
সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এই ফোরাম আয়োজন করে।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস।
বাংলাদেশ-চীন
কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশে চীনা ভাষার
বিকাশ ও আধুনিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।
প্রধান
অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক
বিদিশা বলেন, বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে সম্পর্ক অনেক পুরানো।
ব্যবসা-বাণিজ্য, একাডেমিক কিংবা প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সেই
সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে আজকের এই অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি
বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে আমাদের ভাষাগত দক্ষতার অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।
এজন্য কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা
ভাষা ও সংস্কৃতি শেখা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া
সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে অনেকটায় এগিয়েছে চীন। সেজন্য চীন ও
বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, একাডেমিক কিংবা প্রযুক্তিগত সম্পর্ককে সামনে
রেখে এই আয়োজনের গুরুত্ব রয়েছে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে ‘বাংলাদেশ-চীনা ভাষা শিক্ষক সংস্থা
(Bangladesh Chinese Language Teachers
Association) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ঘোষণা করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজক ও
সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেন। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, শান্ত-মারিয়াম-হোংহো কনফুসিয়াস ক্লাসরুম, রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১২টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেন।
উদ্বোধনী
পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় দুটি একাডেমিক সেশন। যেখানে চীন এবং বাংলাদেশের
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিকেলে
সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী ফোরামের কার্যক্রম সমাপ্ত
হয়।