মাহবুব পিয়াল,ফরিদপু প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে ও বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নুরুল্লগঞ্জ ও পার্শ¦বর্তী মানিকদহ ইউনিয়নের কমপক্ষে ৭ গ্রামের কয়েক হাজার লোক দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে অংশগ্রহণ করে। এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ গ্যাসগান নিক্ষেপ করে। এলাকায় ভাঙ্গা থানার পাশাপাশি ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়েছে। পুনরায় সংর্ঘষের আশংকায়ং পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের নিয়ন্ত্রনে থাকায় বৃহস্পতিবার এলাকায় শান্তিপুর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহিন আলম সাহাবুর। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক। গত মঙ্গলবার নুরুল্লগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লাকান্দা গঙ্গাধরদী গ্রামের মসজিদে ইফতার চলাকালীন সময়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রাতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বুধবার সকাল ৮ টার দিকে নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লাকান্দা গঙ্গাধরদী, ফকিরকান্দা গঙ্গাধরদী, দক্ষিণকান্দা গঙ্গাধরদী, ধর্মদী ও মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া, ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের লোকসহ আশে পাশের আরও কয়েক গ্রামের লোক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় কমপক্ষে ১০টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের আধিপত্যের বিরোধে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ইফতারের সময় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। বুধবার সকালে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ দুই রাউন্ড গ্যাসগান নিক্ষেপ করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে।