মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর:
ফরিদপুরের ভাঙ্গার এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রামের ওভারব্রীজের রেলিং এ ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সেটিতে আগুন ধরে য়ায়। তাৎক্ষনিক ভাবে কেউই অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের হতে পারেনি, ফলে আগুনে পুড়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা সকল যাত্রি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এঘটনায় একমাত্র জীবিত অ্যাম্বুলেন্সেটির ড্রাইভারকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্যাস চালিত অ্যাম্বুলেন্সটির চতুর্দিক থেকে আগুন ধরে যায়। অ্যাম্বুলেন্সটির চালক লাফ দিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারলেও ভেতরে থাকা ৩ শিশু , ২ মহিলা সহ ২ জন পুরুষ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ এনে অ্যাম্বুলেন্সটির ভিতর থেকে ৭ জনের কঙ্কাল বের করে। নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে দ্রুত গতির অ্যাম্বুলেন্সটির ধাক্কা লেগে ইঞ্জিনের সামনের অংশ আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৭ জন ভস্মীভূত হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৈমুর আলম জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা থেকে ৭জনকে নিয়ে রওনা দেয়। পথিমধ্যে দুর্ঘটনাস্থল মালিগ্রাম ফ্লাইওভার উপরে ওঠার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং এ ধাক্কা খায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সটির চতুর্দিক থেকে আগুন লেগে যায়। চালক বের হতে পারলেও বাকিরা ভেতরে আটকা পড়ে। স্থানীয় জনতা আগুনের তীব্রতার কারণে এ্যাম্বুলেন্সটির কাছে যেতে পারেনি। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস ও ভাঙ্গা থানা পুলিশ স্থানীয় জনতা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়। অ্যাম্বুলেন্সটি থেকে মোট ৭ জনের পুড়ে যাওয়া কঙ্কাল বের করা হয়। গুরুতর আহত অ্যাম্বুলেন্স চালক কে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। । নিহতদের পরিচয় ও ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে । দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।