মো. আনোয়ার হোসাইন জুয়েল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
২৯ অক্টোবর ২০২৩ বিএনপি ও জামায়ত এর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার এস.আই মো. রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স ডিউটি করাকালে পুলিশকে লক্ষ করে পুলিশের গাড়িতে বোমা সাদৃশ্য বস্তু নিক্ষেপ করিয়া উক্ত বস্তু বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরন ঘটায়।
তাড়াইল থানা সূত্রে জানা যায়, ২৯ অক্টোবর (রবিবার)বিএনপি ও জামায়ত এর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল উপলক্ষ্যে তাড়াইল থানা এলাকায় রাত্রীকালীন এস.আই মো. রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ডিউটি করাকালে রাত অনুমান ১.৩০ ঘটিকার সময় তাড়াইল নতুন বাস ষ্ট্যান্ড অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারিয়া তাড়াইল থানাধীন পূর্ব দড়িজাহাঙ্গীরপুর সাকিনস্থ মৃত জৈনক গণি ভূইয়ার বাড়ীর পূর্ব পাশে তাড়াইল টু তালজাঙ্গা গামী পাকা রাস্তার উপর তাড়াইল উপজেলা বিএনপির ৩০/৩৫ জন লোক হরতাল সফল করার লক্ষ্যে নাশকতার উদ্দেশ্যে ককটেল, বিস্ফোরন দ্রব্য নিয়া জমায়েত হইয়াছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া ঘটনাস্থলে পৌছামাত্রই আসামীগণ পুলিশের উপস্থিতি টের পাইয়া পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করিয়া বোমা সাদৃশ্য বস্তু নিক্ষেপ করিয়া উক্ত বস্তু বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরন ঘটায়। তখন পুলিশের জানমাল ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ফারার করা হয়। আসামিরা ছুটাছুটি করিয়া পালাইয়া যায়। তখন ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত বোমার লাল রংয়ের টেপ এর পোড়া ও ছেড়া অংশ এবং লাল কস্টেপ দ্বারা মোড়ানো টিনের কৌটার অবিস্ফোরিত বোমা সাদৃশ্য বস্তু ২টি সংরক্ষণ করা হয়। পরে এস.আই মো. রফিকুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে ৩০/৩৫ জন অজ্ঞাত নামা আসামী করে The Expplosive substances Act. ১৯০৮ (সংশোধনী-২০০২) আইনের ৩/৪ ধারা তৎসহ পেনাল কোড ১৪৩/১৮৬/৩৫৩/৩৪ ধারায় তাড়াইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১০, তারিখ- ২৯-১০-২০২৩।
তাড়াইল থানার এস.আই ও উল্লেখিত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল্লাহ জানান, মামলা রুজু হওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে উক্ত ঘটনায় সরাসরি জড়িত সন্ধিগ্ধ ৫জন আসামীকে গ্রেফতার করি। আসামীরা হলেন, ১। উপজেলা বিএনপির তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক কালনা গ্রামের মৃত আ: রহমানের ছেলে আবু তাহের (৪৪), ২। একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি পংপাচিহা গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৫২), ৩। পংপাচিহা গ্রামের আ: হামিদের ছেলে আ: সাত্তার (৫৩), ৪। বোরগাঁও গ্রামের মৃত আ: জব্বারের ছেলে আনিছুর রহমান (৫০) ও ৫। লক্ষীপুর গ্রামের রঙ্গু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া (৩০), সর্বথানা- তাড়াইলকে গ্রেফতার করি।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি অত্যান্ত দু:খজনক। আমরা রাত্রেই সরাসরি জড়িত সন্ধিগ্ধ ৫জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের নিকট হতে ঘটনা সংক্রান্তে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে। আসামীদের রোববার বিকাল ৪টায় কিশোরগঞ্জ জেলা জজ আদালতে প্রেরণ করি। মামলা তদন্ত ও বাকী আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।