মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর ডাসার উপজেলার আপন পুত্র রাসেল হাওলাদার ও তার স্ত্রী পলি বেগমসহ কয়েকজনে মিলে তার মা আনোয়ারা বেগমকে (৫০) টাকা জন্য কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (০৩ মে) বিকেলে উপজেলার ছোট বনগ্রাম এলাকার মৃত্যু আলমগীর হাওলাদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।আহত মা আনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মা আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে ডাসার থানায় বুধবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন,ছোট বনগ্রাম এলাকার মৃত্যু আলমগীর হাওলাদারের রাসেল হাওলাদার(৩২), রাসেল হাওলাদারের স্ত্রী পলি বেগম(২৬), দুলাল হাওলাদারের(৫০) স্ত্রী কানকলি(৪৫)।
ভুক্তভোগী মা আনোয়ারা বেগম ও মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রাসেলের বাবা মৃত্যুর আগে ১০ লাখ টাকা রাসেলের মা আনোয়ারা বেগমের কাছে রেখে গেছে, এমন দাবী করে রাসেল তার মা আনোয়ারা বেগমের কাছে টাকা দাবী করে। তবে তার মা তাকে জানান তার বাবা মৃত্যুর আগে কোন টাকা পয়সা রাখে নাই।একথা রাসেলের মা রাসেলকে শতবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও রাসেল তার মায়ের কথা বিশ্বাস করে না। টাকা চেয়ে টাকা না পেয়ে রাসেল ও তার স্ত্রী পলি বেগম মিলে মা আনোয়ারা বেগমকে কুপিয়ে জখম। পরে আনোয়ারা বেগমের মেঝো ছেলে নাসির হাওলাদার বাঁচাতে এলে তাকেও তারা মারধর করে। নাসির হাওলাদার স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার মাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলে রাসেল ও তার বউ পলি বেগম আমাকে এর আগে অনেক কয়েকবার মারধর করেছে। সে কোথার কি জানি শুনে এসেছে, যে তার বাবা মৃত্যুর আগে তার বাবা না কি আমার কাছে ১০ লাখ টাকা রেখে গেছে।তার বাবা মৃত্যুর পূর্বে টাকা রেখে যাওয়া তো দূরের কথা সে তো মৃত্যুর পূর্বে অনেক টাকা ঋণ হয়েছিল।একথা আমি আমার ছেলেকে শতবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও সে আমার কথা না শুনে। টাকা জন্য আমার ছেলে আমাকে দা দিয়ে কোপ মেরে আমার মাথা ফাটিয়েছে।এবং তার স্ত্রী পলি বেগমসহ কয়েকজনে মিলে আমার মাথার চুল ধরে টানা হেচড়া করে মাটিতে ফেলে কিল, ঘুষি লাথি ও চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে।
তারপরে আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। আমি আমার ছেলের এবং তার সহযোগীদের বিচার চাই।
ছেলে নাসির হাওলাদার বলেন, সামান্য টাকার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা আমার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যেভাবে কুপিয়েছে এবং আমাকে হত্যা করার জন্য হুমকি দিয়েছে। যেই মা দশ মাস দশ দিন পেটে ধারণ করছে কত কষ্ট করছে এই মাকে এভাবে মারছে আমি আমার ভাই এবং তার স্ত্রী ও তাদের সহযোগিদের বিচারের দাবি জানাই।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন,বিষয়টি একেবারে দুঃখজনক।ছেলে তার মায়ের সাথে এরকম করতে পারে। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব।