মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর:
ঈদুল আজহা এলেই গ্রামে থাকা মা,ভাই-বোন, পরিবারের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে স্ত্রী কমলা বেগম আর ৩ ছেলে-মেয়ে আরিফ, হাসিব ও শিশুকন্যা হাসফাকে নিয়ে বাড়ী ফিরত বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামের বাসিন্দা, ঢাকায় প্লাস্টিকের ব্যবসায়ী আলমগীর খান।
এবারও পরিবারের সবাই মিলে ঈদে সুন্দর সময় কাটাবেন এমন আশায় কিনেছেন কোরবানির গরু। ঈদে বাড়ী ফেরা মানুষের ভীড় বাড়ার আগেই স্ত্রী সন্তানদের ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া অসুস্থ শ্বাশুড়ি আর শালিকা ও তার ছেলে মিলে সাতজনকে একটি পরিচিত অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ির উদ্দেশ্যে নিজ হাতে রওনা করিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্ত নির্মম নিয়তি ৭ আপনজনের বাড়ী ফেরার সে যাত্রাই, যে - শেষযাত্রা হবে, তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি তিনি!
ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের মধ্যে সাত জনই আলমগীর খানের আপনজন।
তিন সন্তান, স্ত্রী, শাশুড়ী, শালিকা ও শালিকা পুত্রকে হারিয়ে শোকে নিস্তব্ধ সে। পরিবারের সাত সদস্যকে হারিয়ে কিছুই বলতে পারছেন না তিনি। কেবল দু চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় ঝরছে অশ্রু, নির্বাক দৃষ্টিতে খুঁজে ফিরছেন আপন জনের মুখ।