মাসুম বিল্লাহ, বগুড়াঃ
বগুড়া
শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের উপর নেট বিছিয়ে শুবলি, শালফা ও বোয়ালকান্দি
এলাকায় ভুট্টা ও ধান শুকানোর চাতালে পরিণত হয়েছে। এতে করে সড়কটি কোথাও
সংকুচিত, আবার কোথাও প্রসারিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোনো কার্যকর
ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকরা। যেকোনো
সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন ব্যক্তিরা।
সরেজমিনে
শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শুবলি, শালফা ও বোয়ালকান্দি গ্রামের মধ্যে
দিয়ে শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কটি সম্প্রতি প্রসস্ত করা হয়েছে। সেই সড়কের
দুই পাশের ধান, খড় ও ভুট্টা শুকানোর হিড়িক দেখা গেছে। কৃষাণ-কৃষাণী থেকে
শুরু করে ছোট ছেলে-মেয়েরা সবাই ব্যস্ত সেই কাজে। মহাসড়কের কোলঘেঁষা গ্রামের
কৃষকরা এখন তাদের ধান, খড় ও ভুট্টা শুকানোর জন্য সড়কের বিভিন্ন স্থান দখলে
রেখেছে। এ কারণে নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। ধান ও খড়ের ওপর
দিয়ে যানবাহন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
রবিউল
ইসলাম নামের এক ট্রাকচালক বলেন, এই সড়কের নির্মাণকাজ চলমান থাকায় গতিবিধি
নিয়ন্ত্রণ করে গাড়ি চালানো হচ্ছে। এরপর যদি সড়কের কোথাও কোথাও ধান ও খড়ের
স্তূপ থাকে, তাহলে তো আমাদের সমস্যা। হর্ন দিলেও শোনে না, হুট করে রাস্তা
পারাপার হয়। অনেকে তো সড়ককে ধান ও ভুট্টা শুকানোর চাতালের মতো করে ব্যবহার
করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।
এ ব্যাপারে কয়েকজন
কৃষানী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই পুরোপুরিভাবে ধান
পাকার আগেই কেটেছি। এ অবস্থায় যদি আবার বৃষ্টির মধ্যে পরি তাহলে এই ধানগুলো
নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের বাড়িতে খোলা না থাকায় রাস্তার উপর শুকাতে দিয়েছি।
আরেকজন
কৃষক বলেন, কয়েখদিন আগের বৃষ্টিতে আমার ভুট্টা ভিজে গিয়েছিল। ভেজা ভুট্টার
দাম কম। আমার বাড়িতে বড় জায়গা না থাকায় সড়কের উপর শুকাচ্ছি। বিকেল হওয়ার
আগেই নিয়ে যাব।
সচেতন মহল বলেন, শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক
সড়ক দিয়ে এখন অনেক বড় বড় যানবাহন চলাচল করে। ধান ও ভ্ট্টুার মৌসুমে সড়কটির
বিভিন্ন অংশে ভুট্টা শুকানো, ধান ধানমাড়াই ও খর শুকানোর কাজে ব্যবহার করা
হচ্ছে। এ কারণে কখনো কখনো ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।
এ
ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. সানজিদা সুলতানা বলেন, সড়ক দখল
করে ভুট্টা, ধান ও খর শুকানোর কোন নিয়ম নেই। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।