শাহাদাত হোসেন সোহাগ, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১০) ধর্ষণ করে পর্ণোগ্রাফি ভিডিও তৈরীর অভিযোগে ময়দান আলী (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ আগষ্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার (৬ আগষ্ট) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই দুপুরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলার মরিচপুরান গ্রামের নিজ বসত ঘরে ডেকে নেয় ময়দান আলী। এ সময় ওই ঘরে অন্তর মিয়া ও মুনায়েম অবস্থান করছিলো। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীর স্কুল ড্রেস খুলে ফেলে তারা৷ পরে ওই শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ময়দান ও অন্তর মিয়া ধর্ষণ করে এবং মুনায়েম মিয়া মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করে৷ এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ্য করে তোলে। এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে খুন করার হুমকি দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয় তারা। এদিকে, ধর্ষণের সময় ধারন করা ভিডিও এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানতে পারেন। পরে গত ২ আগষ্ট ভুক্তভোগীর নানী বাদী হয়ে উপজেলার মরিচপুরান গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে ময়দান আলী, ভুট্টু মিয়ার ছেলে অন্তর মিয়া (২৪) ও সাদিকুর রহমানের ছেলে মুনায়েম মিয়াসহ (২৩) তিনজনকে আসামী করে শেরপুর আদালতে মামলা করেন। ভুক্তভোগীর নানী বলেন, বাপ ছাড়া মেয়েটারে আমিই মানুষ করার দায়িত্ব নিয়েছিলাম৷ স্কুল থেকে ফেরার পথে ময়দান, অন্তর আর মুনায়েম আমার অবুঝ নাতীর সর্বনাশ করছে৷ আমি এর সঠিক বিচার চাই৷
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, এ
ঘটনায় আদালতের নির্দেশে রোববার থানায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলার পর
রাতেই অভিযান চালিয়ে ময়দান আলী নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করে সোমবার
আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান
অব্যাহত রয়েছে৷