রাজবাড়ী প্রতিনিধি :
রাজবাড়ী জেলা সদরের সুলতানপুর ইউনিয়নে চর শ্যামনগর গ্রামে বাড়িঘর দখল ও ৪ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ইউরোপ প্রবাসীর বিধবা মা ভারতী কুন্ডু(৪৮) কে হত্যার হুমকি দিয়েছে তার ভাতিজা সৈকত সরকার ও তার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভারতী কুন্ডু চলতি মাসের ৫ অক্টোবর ৬ জনকে আসামী করে রাজবাড়ী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।(মিস.পি নং ৮৪২/২৩)। ভুক্তভোগী ভারতী কুন্ডু রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের খানখানাপুর কুন্ডুপাড়া গ্রামের মৃত স্বপন কুন্ডুর স্ত্রী।তার ছেলে ভাস্কর কুন্ডু ইউরোপের লিথুনিয়া প্রবাসী। মামলার আসামিরা হলো, সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের চর শ্যামনগর গ্রামের নতুন হাট এলাকার মৃত দিলিপ কুমারের ছেলে সৈকত সরকার(২৭), সৈকতের মা কমলা রাণী(৫০),মৃত মনিন্দ্রনাথের ছেলে উত্তম কুমার(৬০),উত্তম কুমারের স্ত্রী জোস্না রাণী(৪০),মৃত মনিন্দ্রনাথের আরেক ছেলো নিখিল কুমার(৬৩), নিখিল কুমারের স্ত্রী কনাকা রাণী(৫৫)। ভুক্তভোগী ভরতী কুন্ডু অভিযোগ করে বলেন, আমি খানখানাপুরে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করি।আমার বড় ভাই তপন কুমার চাকুরীর সুবাদে আমার মাকে নিয়ে নড়াইল জেলায় থাকে। এজন্য আমি আমার বাবার বাড়ি সুলতানপুরে দেখাশোনার জন্য মাঝেমধ্যে যায়। বাড়িতে দেখাশোনার জন্য সৈকত সরকার ও তার পরিবারকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি।আমার ছেলে বিদেশে যাবার পর থেকেই বিবাদীরা আমার কাছে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে। আমি বিধবা মানুষ। আমাকে তারা অসহায় পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা আমাকে নানাভাবে হুমকিধামকি দিচ্ছে। ঘটনার দিন মামলার ১ নং আসামি মাদক ব্যবসায়ি সৈকত সহ অনান্য আসামিরা যাদেরকে আমরা আমাদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলাম তারাই এখন আমাদেরকে হুমকিধামকি ও ষড়যন্ত্র করছে। এবং আসামিরা আমার কাছে ২ লাখ ও আমার ভাই তপনের কাছে ২ লাখ মোট ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে।আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করি এবং আসামিদের কে আমাদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলি।
ভুক্তভোগী ভারতী কুন্ডু আরও বলেন, এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে জোটবদ্ধ হয়ে আমাকে ও আমার ভাইয়ের উপরে বাঁশের লাঠি,ধারালো দা,বটি,ছ্যানদিয়ে খুন জখম করার জন্য আক্রমণ করে।আমরা জীবন বাঁচাতে চিৎকার চেচামেচি করি।এসময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে তোদেরকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো। আমরা এখন প্রাণভয়ে আছি। আদালতে মামলা করেছি। মামলার ১ নং আসামি সৈকত সরকার বলেন, ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে তারা মামলা করেছে।
রাজবাড়ী সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.শাহাদাত হোসেন জানান, আমরা
শান্তিরক্ষার জন্য দুইপক্ষকে নোটিশ দিয়ে আদালতকে অবহিত করেছি।