অনুমতি না পেয়ে নোয়াখালীতে জামায়াতের ঝটিলা মিছিল
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে পুলিশের অনুমতি না পেয়ে ঝটিকা মিছিল করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার
(৩১ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যেগে জেলা শহর
মাইজদীর প্রধান সড়কে এই ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত
সমাবেশ করে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক
জামায়াত নেতা বলেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ইসহাক
খন্দকারের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেয়ারটেকার সরকার
প্রতিষ্ঠা, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ আটককৃত সকল নেতাকর্মির মুক্তি
এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রেণের দাবিতে এই ঝটিকা মিছিল বের করা
হয়। পুলিশের অনুমতি না পেয়ে সোমবার সকাল ৭টার দিকে এই মিছিল বের করা হয়।
জেলা
জামায়াত ইসলামীর একাধিক নেতাকর্মিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ
জামায়াতে ইসলামী গত ৩০ জুলাই দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপর নোয়াখালী
জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ জেলা পুলিশ বরাবর অনুমতি চেয়ে আবেদন করে অনুমতি
লাভে ব্যর্থ হয়। গতকাল রোববার (৩০ জুলাই) জেলা পুলিশের সতর্ক অবস্থানের
কারণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি তারা। একপর্যায়ে সোমবার সকালে
কৌশলে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে পুলিশ উপস্থিত
হওয়ার আগেই জামায়াত নেতৃবৃন্দ কর্মসূচি শেষ করে চলে যায়।
সমাবেশে
উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলানা নিজাম
উদ্দিন ফারুক, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের জামায়াত ইসলামী মনোনীত
সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ সাইয়েদ আহমেদ, নোয়াখালী আইজীবী
সমিতির সাবেক সেক্রেটারী জামায়াত নেতা এডভোকেট তাজুল ইসলাম, নোয়াখালী
আইজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জামায়াত নেতা এডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ ভুইয়া,
নোয়াখালী আইজীবী সমিতির বর্তমান সেক্রেটারী জামায়াত নেতা এডভোকেট
আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নোয়াখালী শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইফুল্লাহ
সাইফ প্রমূখ।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঝটিকা মিছিলের বিষয়টি শুনেছি। এ
বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। মিছিলের অনুমতি চেয়ে না পাওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে
ওসি বলেন, আমি কোন অনুমতি চাওয়ার কাগজ পাইনি।