নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে এক নারী রোগীর শরীরে ভুল গ্রুপের রক্ত প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী রোগীর নাম খাদিজা বেগম (৪৯)। তিনি জেলার বেগমগঞ্জের নাজিরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাহার উদ্দিনের স্ত্রী।
শনিবার
(২ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে জেলা শহরের জনতা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা
ঘটে। পরে ভুক্তভোগী রোগীর পরিবারের মৌখিক অভিযোগের তাৎক্ষক্ষিক হাসপাতালের
প্যাথলজি ল্যাব ও কেবিন ইউনিট বন্ধ করে দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত করেন নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার। তিনি বলেন,
শনিবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে একই দিন দুপুরের
দিকে অভিযুক্ত হসপিটালে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে টিম পাঠানো হয়। পরে
হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব ও কেবিন ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়।
খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসকের পরামর্শে খাদিজা বেগম ডোনার সংগ্রহ করে রক্ত
দিতে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতালে পরীক্ষায় রোগীর রক্তের গ্রুপ
‘ও’ পজিটিভ নির্ণয় করা হয়। এরপর ডোনারের থেকে ‘ও’ পজিটিভ রক্ত সংগ্রহ করা
হয়। কিন্ত হাসপাতালে নার্স তার শরীরে ‘বি’ পজিটিভ’ রক্ত প্রয়োগ করেন। রোগীর
স্বজনরা বিষয়টি বুঝতে পারলে তাদের বাধার মুখে নার্স রক্ত দেয়া বন্ধ করে।
তাৎক্ষণিক বিষয়টি রোগীর স্বজনেরা মৌখিক ভাবে সিভিল সার্জনকে অবহিত করে।
হাসপাতালের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, দুই রোগীর রক্ত এক সাথে থাকায়
নার্স ভুল করে অন্য রোগীর রক্ত খাদিজা বেগমের শরীরে পুশ করেন। পরে ভুল
বুঝতে পেরে রক্ত দেয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।