মো. আনোয়ার হোসাইন জুয়েল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
“নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবার, ইসরাইলী আগ্রাসন-বন্ধ কর করতে হবে, অস্ত্র নাও যুদ্ধ কর-আল আকসা মুক্ত কর, খায়বারের হাতিয়ার-গর্জে উঠুক আরেকবার” ধ্বনিতে ফিলিস্তিনে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন থেকে বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা হতে আগত ইমাম-মুয়াজ্জিন ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ফিলিস্তিনে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিভিন্ন শ্লোগান নিয়ে হাজার হাজার তৌহিদী জনতা তাড়াইল-সাচাইল কাছেমুল উলুম মাদরাসা মাঠে জড়ো হতে থাকেন। বিক্ষোভ মিছিলে অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে তাড়াইল-সাচাইল কাছেমুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীস আল্লামা ফয়েজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া শাহীন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হক আকন্দ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ তাড়াইল উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা এনামুল হক (বড় হুজুর), তাড়াইল-সাচাইল কাছেমুল উলুম মাদরাসা শায়খুল হাদীস ও সাবেক শিক্ষাসচিব মাওলানা সাদেকুর রহমান, জামিয়াতুস সুন্নাহ সেকান্দরনগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ফখর উদ্দীন, দামিহা আতহারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, উপজেলা মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। যেসব দেশ দখলদার ইসরায়েলিদের সহযোগিতা করছে, তাদের সরে আসার আহ্বান জানান তারা। বক্তারা আরো বলেন, দখলদার ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনিদের ওপর যে নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে, তা বৈশ্বিক মানবিক বিপর্যয়। অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ নারী-শিশু ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধের আহবান জানান তারা। যদি হামলা বন্ধ না করা হয় তাহলে এর কড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ারি করে এসব হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বক্তারা।
এছাড়া বক্তারা বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করে বলেন, ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ করা এবং ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখার জন্য। এর পাশাপাশি ইসরাইলের সকল পন্য বর্জন করা সহ জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব এবং বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। দোয়ার মাধ্যমে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করা হয়।