কে এম, রাশেদ কামাল, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
‘মা-বাবা’ ছোট্ট একটি শব্দ। এই শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সব মায়া, মমতা, অকৃত্রিম স্নেহ, আদর, নিঃস্বার্থ ভালোবাসার। চাওয়া-পাওয়ার এই পৃথিবীতে বাবা-মায়ের ভালোবাসার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা চলে না। মা বাবার মতো এমন মধুর শব্দ দ্বিতীয়টি আর নেই।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী এলাকার এক অসহায় বাবা ও মায়ের স্বপ্ন ছিলো তার ছেলে মেধাবী শিক্ষার্থী মো. শাহীনকে নিয়ে। বাবা নিজে তেমন পড়াশোনা না করে এখন বুঝতে পারেন যে পড়াশোনার গুরুত্ব কত, তাই নীজের জীবনের কথা চিন্তা না করে অসহায় কৃষক এই বাবা দিনরাত পরিশ্রম করে তিল-তিল করে তার সন্তান শাহীনকে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করেন। শাহীন বাবা-মায়ের স্বপ্নের কথা চিন্তা করে সেখানেও ভালো রেজাল্ট করেন। কিন্তু হঠাৎকরে ওই শিক্ষার্থীর মরণব্যাধি ক্লোন ক্যান্সার ধরা পরে। থেমে যায় ওই শিক্ষার্থীর পড়াশোনা। ভেঙ্গে যেতে থাকে ওই অসহায় পরিবারের স্বপ্ন। বন্ধ হয়ে যায় মেধাবী শিক্ষার্থীর কিকিৎসা। খবর পেয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা বাঁশগাড়ী এলাকার কৃতি সন্তান সমাজসেবক আলহাজ্জ বাবুল আকন ওই মেধাবী শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহন করেন। ওই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভরতে নিয়ে যায় বাবুল আকন। পরে ভারতের চেন্নাই ভ্যালোর সি.এম.সি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই শিক্ষার্থীকে। বর্তমানে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
বাঁশগাড়ী এলাকার বেশ কয়েকজন ভূক্তভোগী বলেন, বাবুল আকন এলাকার অসহায় মানুষের একটি আশ্রয়স্থল। তিনি বেশ কয়েক বছর এলাকার অসহায় মানুষের সেবা করে আসছেন। আমরা তার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ওই শিক্ষার্থীর স্বজনেরা বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী শাহীনকে নিয়ে ছিলো তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন। সে স্বপ্ন আজ ভেঙ্গে যেতে বসেছে।
আলহাজ্জ বাবুল আকন বলেন, ওই মেধাবী শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব আমি গ্রহন করেছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আমি করোনা কালেও এই এলাকার অসহায় মানুষের পাসে ছিলাম। আমি মানুষের সেবা করতে পারলে আমার কাছে আনন্দ লাগে।