Breaking News
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

ঢাবি প্রতিনিধি:
দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ওহসেক কওন-এর নেতৃত্বে ৭-সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল আজ ০৩ মে ২০২৩ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছে।

সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে চলমান যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল করার ব্যাপারে আলোচনা করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস (এনআইবিআর)-এর আর্থিক সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ এবং কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিচালিত যৌথ গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এই দু’ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইতোমধ্যেই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য উপাচার্য অতিথিদের ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত ‘জীববৈচিত্র্য গবেষণায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন।

  • 347
  • 1 month ago
ঢাবি ইংরেজী বিভাগের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

ঢাবি ইংরেজী বিভাগের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের উদ্যোগে ‘Mapping Gendered Spaces in Language, Literature and Culture’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আজ ৪ মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার আরসি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সংযুক্তা দাশগুপ্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ইংরেজী বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক জেরিন আলম স্বাগত বক্তব্য দেন। সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে সব ধরনের বাধা দূর করতে হবে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ ও গবেষকগণ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।

  • 350
  • 1 month ago
ঢাবি উপাচার্যের দক্ষিণ কোরিয়া গমন

ঢাবি উপাচার্যের দক্ষিণ কোরিয়া গমন

ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গতকাল ৬ মে ২০২৩ শনিবার দিবাগত রাতে ৭-দিনের সফরে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। কোরিয়া ফাউন্ডেশন (কেএফ)-এর প্রেসিডেন্ট মি. ঘিওয়ান কিমের আমন্ত্রণে তিনি এই সফর করছেন।

উল্লেখ্য, ‘ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৪টি খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট/উপাচার্য/রেক্টরগণ বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করছেন। সফরকালে তাঁরা কোরিয়া ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। এসময় তাঁরা শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে মতবিনিময় করবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই সফরকালে কোরিয়া ন্যাশনাল ডিপ্লোমেটিক একাডেমি, জনসি ইউনিভার্সিটি, সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কিং সিজং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশন, কোরিয়ান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন, একাডেমি অফ কোরিয়ান স্টাডিজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন। এসময় তিনি কোরিয়ান অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কোরিয়ান উপদ্বীপ এবং উত্তর পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা ও শান্তি বিষয়ক নীতিমালা, গ্লোবাল ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, ফরেন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এবং কোরিয়ান স্টাডিজ প্রোগ্রাম বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করবেন।

এছাড়া, সফরকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোরিয়ার খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর সম্ভাব্যতা নিয়েও তিনি মতবিনিময় করবেন।

  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আগামী ১৩ মে ২০২৩ শনিবার দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ তাঁর নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে উপাচার্য-এর রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।

  • 366
  • 4 weeks ago
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

ঢাবি প্রতিনিধি:
‘সমাজ সংস্কার ও রবীন্দ্রনাথ’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ০৮ মে ২০২৩ সোমবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সমাজের নানা অসংগতি, কুসংস্কার, বাংলার মানুষের কষ্ট, প্রকৃতি, পরিবেশ, মানবপ্রেমসহ বিভিন্ন বিষয় রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, গান, রচনা, সাহিত্য ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। রবীন্দ্রনাথের ভারতবর্ষীয় দর্শন ছিল অনেক উদার। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাভাবনা ও দর্শন সকলের সামনে আমাদের সবসময় তুলে ধরতে হবে। রবীন্দ্রনাথের জীবন, দর্শন ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জানলে আমরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রবীন্দ্রনাথের জীবন ও কর্ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের জীবন, দর্শন ও সাহিত্যকর্ম আমাদের সবসময় অনুপ্রেরণা জোগায়।

অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল মূল প্রবন্ধে বলেন, রবীন্দ্রনাথের সমাজদর্শন বিশ্বদর্শনে পরিণত হয়েছে। তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল কাজগুলো তৎকালীন পূর্ববঙ্গের গ্রাম্যজীবন ও পদ্মাপাড়ের মানুষের জীবন নিয়ে রচিত। তিনি লেখনীর মাধ্যমে মানুষের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন করে সমাজ সংস্কার করতে চেয়েছেন। সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে তিনি নারীকে সর্বোচ্চ আসনে রেখেছেন।
আলোচনা পর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

  • 371
  • 4 weeks ago