নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লবের উদ্যোগে কৃষকের পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিল যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার
(৩ মে) দিন ব্যাপী জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা নোয়াখালীর সদর উপজেলার
অর্শ্বদিয়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কৃষক মন্নানের ১০০ শতাংশ জমির
ধান কেটে দেন। এতে কৃষক পরিবার খুব খুশী।
এদিকে শ্রমিক ও আর্থিক
সংকটে কৃষকের পাশে এমন মানবিক কাজে নোয়াখালী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক
একরামুল হক বিপ্লব এগিয়ে আসায় সাধারন মানুষ ব্যাপক প্রশংসা করেন।
জানা
যায়, নোয়াখালী জেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। এ সময় কৃষকরা
শ্রমিক ও আর্থিক সংকটে পড়ে। সময় মত ধান কেটে বাড়িতে আনতে না পারায় কৃষকরা
ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহবানে ও
কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা
বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম হামিদুল হক বকুলের ছেলে ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম
আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নোয়াখালীর সদর উপজেলার
অর্শ্বদিয়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কৃষক মন্নানের ১০০ শতাংশ
জমিতে ধান কেটে মাড়াই করে বাড়িতে পৌছে দেন।
এ সময় ধান কাটা
কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
ফজলুল হক সুজন, সাবেক সহ-সভাপতি ইউনুস হায়দার আবির, ইয়াছিন আরাফাত ফয়সাল,
মোঃ দাউদ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পুলক
রায়সহ অন্যান্য প্রমূখ।
কৃষক আব্দুল মন্নান জানান, আমি বহু কষ্টে
১০০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করছি। বর্তমানে শ্রমিক সংকট ও শ্রমিক মূল্য বেশী
হওয়ায় আর্থিক সংকটের ধান কেটে বাড়িতে আনা নিয়ে দুঃচিন্তায় ছিলাম। জেলা
যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব ভাইসহ নেতাকর্মীরা আমার ধান কেটে
বাড়িতে পৌছে দেওয়ায় আমার উপকার হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ
এসব নেতাকর্মীদের দোয়া করছি।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরামুল
হক বিপ্লব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশে ও বাংলাদেশ আওয়ামী
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারন সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন
খান নিখিল এ আহবানে অসহায় অসায় কৃষকদেও পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার এ
কর্মসূচী পালন করি। আমাদের এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।
মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর ডাসার উপজেলার আপন পুত্র রাসেল হাওলাদার ও তার স্ত্রী পলি বেগমসহ কয়েকজনে মিলে তার মা আনোয়ারা বেগমকে (৫০) টাকা জন্য কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (০৩ মে) বিকেলে উপজেলার ছোট বনগ্রাম এলাকার মৃত্যু আলমগীর হাওলাদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।আহত মা আনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মা আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে ডাসার থানায় বুধবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন,ছোট বনগ্রাম এলাকার মৃত্যু আলমগীর হাওলাদারের রাসেল হাওলাদার(৩২), রাসেল হাওলাদারের স্ত্রী পলি বেগম(২৬), দুলাল হাওলাদারের(৫০) স্ত্রী কানকলি(৪৫)।
ভুক্তভোগী মা আনোয়ারা বেগম ও মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রাসেলের বাবা মৃত্যুর আগে ১০ লাখ টাকা রাসেলের মা আনোয়ারা বেগমের কাছে রেখে গেছে, এমন দাবী করে রাসেল তার মা আনোয়ারা বেগমের কাছে টাকা দাবী করে। তবে তার মা তাকে জানান তার বাবা মৃত্যুর আগে কোন টাকা পয়সা রাখে নাই।একথা রাসেলের মা রাসেলকে শতবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও রাসেল তার মায়ের কথা বিশ্বাস করে না। টাকা চেয়ে টাকা না পেয়ে রাসেল ও তার স্ত্রী পলি বেগম মিলে মা আনোয়ারা বেগমকে কুপিয়ে জখম। পরে আনোয়ারা বেগমের মেঝো ছেলে নাসির হাওলাদার বাঁচাতে এলে তাকেও তারা মারধর করে। নাসির হাওলাদার স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার মাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলে রাসেল ও তার বউ পলি বেগম আমাকে এর আগে অনেক কয়েকবার মারধর করেছে। সে কোথার কি জানি শুনে এসেছে, যে তার বাবা মৃত্যুর আগে তার বাবা না কি আমার কাছে ১০ লাখ টাকা রেখে গেছে।তার বাবা মৃত্যুর পূর্বে টাকা রেখে যাওয়া তো দূরের কথা সে তো মৃত্যুর পূর্বে অনেক টাকা ঋণ হয়েছিল।একথা আমি আমার ছেলেকে শতবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও সে আমার কথা না শুনে। টাকা জন্য আমার ছেলে আমাকে দা দিয়ে কোপ মেরে আমার মাথা ফাটিয়েছে।এবং তার স্ত্রী পলি বেগমসহ কয়েকজনে মিলে আমার মাথার চুল ধরে টানা হেচড়া করে মাটিতে ফেলে কিল, ঘুষি লাথি ও চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে।
তারপরে আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। আমি আমার ছেলের এবং তার সহযোগীদের বিচার চাই।
ছেলে নাসির হাওলাদার বলেন, সামান্য টাকার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা আমার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যেভাবে কুপিয়েছে এবং আমাকে হত্যা করার জন্য হুমকি দিয়েছে। যেই মা দশ মাস দশ দিন পেটে ধারণ করছে কত কষ্ট করছে এই মাকে এভাবে মারছে আমি আমার ভাই এবং তার স্ত্রী ও তাদের সহযোগিদের বিচারের দাবি জানাই।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন,বিষয়টি একেবারে দুঃখজনক।ছেলে তার মায়ের সাথে এরকম করতে পারে। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা এলাকার হতদরিদ্র জেলে সুশান্ত মালোর জাল ও নৌকা পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। ফলে হতদরিদ্র সুশান্ত মালো জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মানবেতর ভাবে দিন কাটাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাতের যে কোন সময়। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সুশান্ত মালো।
থানায় অভিযোগ এবং সুশান্ত মালো জানান, তিনি দীর্ঘ ২০-২২ বছর ধরে ফরিদপুরের বাখুন্ডা ব্রীজ থেকে নিখুরদি বৌঘাটা ব্রীজের মধ্যবর্তী কুমার নদীতে বেড় জাল দিয়ে মাছ শিকার করতেন। মাছ শিকার করে যা পেতেন তা দিয়েই তিনি তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে কোন রকমে চলতেন। ঐ দিন রাত ৮টার দিকে তিনি বেড়জালসহ নৌকাটি কুমার পাড়ে প্রতিদিনকার মতো বেঁধে রেখে বাড়ীতে চলে যান। পরে বুধবার ভোর ৪টার দিকে তিনি নদীর পাড়ে গিয়ে দেখতে পান জালসহ নৌকাটিতে কে বা কাহার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে তার প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। সুশান্ত মালো বলেন, তার একমাত্র সম্বলই ছিল জাল ও নৌকা। এটি হারিয়ে তিনি একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন। মাছ ধরে বিক্রি করতে না পারলে তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে বলে জানান।
সুশান্ত মালো বলেন, তার সাথে কারো কোন শক্রুতা ছিলনা। কারা তার এতবড় সর্বনাশ করলো তিনি জানেন না। স্থানীয় বৌঘাটা নিখুরদী এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, সুশান্ত মালো একেবারেই হতদরিদ্র। মাছ শিকার করেই সে জীবিকা নির্বাহ করতো। শক্রুতাবসত যারা এ কাজটি করেছে তারা এমন কাজটি না করলেও পারতো। এ ঘটনায় সুশান্ত মালো কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
মাহবুব পিয়াল, প্রতিনিধি ফরিদপুর:
ফরিদপুরে ট্রাকের চাপায় পলাশ শেখ (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ট্রাকটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় জব্দ করেছে।
নিহত পলাশ শেখ আলিপুরের আলিমুজ্জামান ব্রিজ সংলগ্ন লালন নগরের বাসিন্দা মৃত শেখ মিলনের ছেলে। তিনি শারিরীকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। তার ডান হাত ও ডান পা কিছুটা প্যারালাইজড ছিলো।
কোতোয়ালি থানার এসআই আরাফাত হোসাইন জানান, ট্রাকটি লালন নগর বস্তি হয়ে ব্রিজ অতিক্রম করার আগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ট্রাকটি (কুষ্টিয়া-ট-১১-১২১৬) জব্দ করেছে। এব্যাপারে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাহফুজুর রহমান বিপ্লব জানান, অসুস্থ পলাশ রাস্তা অতিক্রম করার সময় প্রথমে একটি মোটর সাইকেলের লুকিং গ্লাসের সাথে আঘাত লেগে পড়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করার আগেই দ্রুতগামী ট্রাকটি এসে তাকে চাপা দেয়। এসময় মোটর সাইকেল চালক সহ ট্রাক চালক ও হেলপার গাড়ি থেকে নেমে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি শহরে বিরামহীনভাবে বালিবাহী ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলের কারণে সাধারণ জনগণের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তারা এসব ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণেরও জোর দাবি জানান।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ও বাংলাদেশ নদী শাসন বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ মে) বেলা ১১টায় ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট হল রুম মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত
সেমিনারে সভাপতি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এবং
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী সাবেক
সংসদ সদস্য হাসনা জসিম উদদীন মওদুদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশারফ হোসেন।
এ
ছাড়াও আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফেজ
উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক
জহির উদ্দিন স্বপন।
বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন,অধ্যাপক এ কে এম এনামুল হক পিএইচডি, জাকির হোসেন খান, ড.শেখ ফরিদুল ইসলাম।
এ
সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বনও পরিবেশ বিষয়ক
সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু বিষয়ক
সহ-সম্পাদক মো.মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য
মোহাম্মদ গোলাম মোমিত ফয়সাল প্রমূখ।
সেমিনারে বক্তারা জলবায়ু
পরিবর্তনের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে কার্যকর নীতি ও পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়েছেন।
পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)-এর বিবিএ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা আজ ৫ মে ২০২৩ শুক্রবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন, ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আইবিএ’র ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০টি আসনের বিপরীতে ৪,৮৫৩জন ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর
কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীকে (২২) তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মুঠোফোনে
নগ্ন ভিডিও-ছবি ধারণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার (৬ মে)
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন
এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৪। এর
আগে, গত বৃহস্পতিবার ৪ মে রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে এ
ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম মো.সোহেল (৩০)। সে উপজেলার
চরপার্বতী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাহাব উদ্দিন সর্দারের নতুন বাড়ির
সাহাব উদ্দিন সর্দারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ও মামলার এজাহার সূত্রে
জানা যায়, ভিকটিমকে দুই বছর আগে পারিবারিক ভাবে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা
এলাকায় ৪লক্ষ টাকা দেন মোহরে ভিডিও কলে বিয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত যুবক
ভিকটিমের স্বামীর বন্ধু। ভিকটিমের স্বামী প্রবাসী। নিজে প্রবাসে থাকায় সে
তার বন্ধু সোহেলের মাধ্যমে তার শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন বাজার সদাই করে দিত।
এ সুযোগে বন্ধুর স্ত্রীর সাথে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পরকীয়া
সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত বৃহস্পতিবার ৪ মে রাত আড়াইটার দিকে ভিকটিম প্রকৃতির
ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাহিরে গেলে ওৎ পেতে থাকা সোহেল তাকে জোরপূর্বক অপহরণ
করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ
করে এবং মুঠোফোনে নগ্ন ছবিও-ভিডিও ধারণ করে। পরে ভুক্তভোগী পরিবার
অপহরণকারীর পরিবারকে ভিকটিম উদ্ধারে চাপ সৃষ্টি করলে গতকাল ৬ মে রাত সাড়ে
১২টার দিকে অপহরণকারী ভিকটিমকে বসুরহাট বাসস্টেশনে রেখে পালিয়ে যায়। খবর
পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, এর
আগেও সোহেল ভিকটিমকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে অশ্লীল ছবি ও
ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে। সোহেল ভিকটিমকে হুমকি দেয় তার সাথে
প্রতিনিয়ত কথা এবং শারীরিক সম্পর্ক বজায় না করলে মোবাইলে থাকা নগ্ন ছবিও
ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার। একই সাথে ভিকটিমকে খারাপ
কাজে বাধ্য করতে নগ্ন ছবিও ভিডিও তার মুঠোফোনে সংরক্ষণে রাখে। ব্ল্যাকমেইল
করতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর মুঠোফোনে তার নগ্ন ভিডিও ছবি প্রেরণ করে সোহেল।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর
রহমান বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ
আইনে এ মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে
চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর
সোনাইমুড়ী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে নকল সরবরাহের দায়ে এক যুবককে
তিন মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপরদিকে, নকলসহ এক
শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার এবং দায়িত্ব অবহেলায় তিন শিক্ষককে
অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত কাউসার আলম (২২) উপজেলার পাদিপাড়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির মমিন উল্যার ছেলে।
রোববার (৭ মে) দুপুরের দিকে পজেলা আমিশা পাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয়ের ও খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ সব ঘটনা ঘটে।
জানা
যায়, আমিশা পাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক আত্মীয়কে নকল সরবরাহ দায়ে
কাউসার আলম নামে এক এক যুবককে আটক করে কেন্দ্রে দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা
বাহিনীর সদস্যরা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড
দেওয়া । একই কেন্দ্রের দায়িত্বরত কেশারখিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী
শিক্ষক নুরুল ইসলাম ও আমিশাপাড়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের
শিক্ষক নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া এক
পরিক্ষার্থীর পকেটে নকল পাওয়ায় তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে,
উপজেলার খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ পরিক্ষা কেন্দ্রে নিজ দায়িত্বের অবহেলা
করায় আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে ওই
শিক্ষক দায়িত্ব অবহেলা না করার শর্তে মুচলেকা প্রদান করেন।
সোনাইমুড়ী
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.ইসমাইল
হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইনে
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাট প্রতিবেদকঃ
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি‘র বাড়িতে ডাকাতি মামলার পাঁচ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) গভীর রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছেন। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা ০১টি স্বর্নের চেইন, ০১টি আংটি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, একটি রেঞ্জ ও একটি কাটার উদ্ধার করেছে পুলিশ।আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শনিবার (০৭ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, খুলনা শহরের গ্লাক্সোর মোড় এলাকার মোঃ দ্বীন ইসলামের ছেলে মোঃ সোহেল আবিদ ইসলাম ওরফে সোহেল (২৬), বানগাতী-মেটেপোল এলাকার মৃত শহিদ গাজীর ছেলেমোঃ কামাল গাজী (৩৫), নাজিরঘাট এলাকার জবেদ ওরফে খোকন আলী শেখের ছেলে সুমন ওরফে রানা শেখ (৪০) খুলনা জেলার রুপসা স্ট্যান্ড এলাকার মালেক গাজীর ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে আলিফ গাজী (২৫) এবং বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকার মৃত অমরীচন্দ্র স্বর্নকারের ছেলে প্রদীপ কুমার স্বর্নকার (৪০)। এদের মধ্যে মোঃ সোহেল আবিদ ইসলাম ওরফে সোহেল শেখ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।তার সাথে অন্য যারা ছিল তাদের নামও বলেছেন। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে জেলা পুলিশের কয়েকটি চৌকষ দল ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ করছিল। সেই ধারাবাহিকতায় মোঃ সোহেল আবিদ ইসলাম ওরফে সোহেল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই ডাকাতির সাথে অন্য যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতির মামলা রয়েছে।তারা মূলত দামি বাড়ি দেখে ডাকাতির প্রস্তুতি নিত। এজন্য তারা খুব সতর্ক অবস্থায় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করতেন।
এ বছরের ১০ জানুয়ারি গভীর রাতে কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি ও তার ছোট ভাই কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আলমের বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয় ডাকাত দল।উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় ভীতির সঞ্চার হয়।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেফতার মো. হারুনকে (৪০) উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের বারাইচাতলী গ্রামের মোহাম্মদ অজিউল্লার ছেলে।
রোববার
(৭ মে) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১,
সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল
হাসান। এর আগে, একই দিন সন্ধ্যার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ
থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়েছে, হারুনের নামে একাধিক খুন, ডাকাতি, অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলাসহ ১৭
মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের
সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
গ্রেফতার এড়াতে এই আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক
ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে র্যাব
তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য
বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উৎযাপন করা হয়েছে।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় রং নম্বর পরিচয়ের পর অপহরণ করে এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সোমবার
(৮ মে) নির্যাতিতা তরুণী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক সহ আরো দুই জনের নাম
উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের
করেন।
অভিযুক্ত যুবক নাজিমুল হক সুমন (২৬)। সে জেলার সদর উপজেলার
নেওয়াজপুর ইউনিয়নর পূর্ব সাহাপুর গ্রামের হাজী মজিবুল হকের ছেলে ও তার মেয়ে
রুমি আক্তার (২৩)। অপর আসামি মর্জিনা আক্তার (৪৩) উপজেলার লক্ষীনারায়নপুর
এলাকার মো.শাহীনের স্ত্রী। এ ছাড়াও মামলায় আরো ৩-৪জনকে অজ্ঞাত আসামি করা
হয়েছে।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়,ভিকটিম উপজেলার
স্থানীয় একটি ফাজিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত চার মাস
আগে তার ব্যবহৃত নম্বর থেকে তার একজন সহপাঠিকে কল দেওয়ার সময় একটি নম্বর
ভুল হয়ে নাজিমুল হক সুমনের (২৬) মুঠোফোনে কল চলে যায়। পরবর্তীতে সুমন তাকে
প্রতিনিয়ত কল করত। এরপর সুমন ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব সহ বিভিন্ন প্রলোভন
দেখায়। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে, সে শুধুমাত্র ভিকটিমের সাথে
একবার দেখা করার অনুরোধ করে। ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দেখা করার
প্রস্তাবে রাজি হয়। একপর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুমন
অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগীতায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ভিকটিম মাদরাসায় যাওয়ার পথে
তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা শহর মাইজদীতে নিয়ে যায়। ওই সময় সুমন
ভিকটিমকে সদর উপজেলার লক্ষীনারায়নপুর এলাকার তার খালা মর্জিনা আক্তারের
ইসমাইলামিয়া চৌকিদার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রুমি আক্তার ও মর্জিনা
আক্তারের সহযোগীতায় ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে সুমন এবং
ভিকটিমকে তাদের বসত ঘরে আটকে রাখে। ভিকটিম গত রোববার ৭ মে ভোরে ফজরের
নামাজ পড়ার জন্য উঠলে, একটি মোবাইল দেখে কৌশলে তার ভাইয়ের মুঠোফোনে ম্যাসেজ
দিয়ে সংক্ষেপে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থলের নাম লিখে দেয়। পরে পুলিশ
অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা
সবাই পালিয়ে যায়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব
প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু
নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীল বেগমগঞ্জ উপজেলায় মাদরাসার আবাসিক ছাত্রকে (১২) বলাৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত
শিক্ষকের নাম হোজায়ফা ( ২২)। সে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ১নম্বর
ওয়ার্ডের ভবভদ্রী গ্রামের আমিন উল্যার বাড়ির মনিরুল আলম ভুঁইয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার
(৯ মে) বিকেলের দিকে ওই শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা
যায়, উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও
এতিমখানার তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রকে তার মাদরাসার শিক্ষক গত রোববার ৭ মে
রাত ১১টার দিকে মাথা টিপার কথা বলে তার রুমে ডেকে নেয়। পরে তাকে কৌশলে
বলৎকার করে ওই শিক্ষক। পরবর্তীতে ভিকটিমকে ২শত টাকা দেন কাউকে বিষয়টি না
বলার জন্য।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল
হক রনি বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ওই
মামলায় আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
দেয়।
বাগেরহাট প্রতিবেদকঃ
বাগেরহাটে গবাদীপশুর ওষুধের বিক্রি বাড়াতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করায় রেনেটা কোম্পনীর বিক্রয় প্রতিনিধি রনজিৎ বিশ্বাসকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বাগেরহাট-সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার(০৯ মে) বিকেলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার রোহান সরকার সদর উপজেলার কাঠি-গোমতী গ্রামে ভ্র্যম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জেল-জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিট্রেট রোহান সরকার বলেন, ওষুধের বিক্রি বাড়াতে রেনেটা কোম্পনীর প্রতিনিধিরা দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন খামারে গিয়ে নিজেরা গবাদী পশুর চিৎিকসার নামে অবৈধ ভাবে চিকিৎসাপত্র দিয়ে আসছিল। জেলা ও উপজেলায় অসুস্থ গবাদী পশুর চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রানী সম্পদ বিভাগের ভ্যাটেনারী সার্জন রয়েছে। এই অবস্থায় জেলা প্রানী সম্পদ বিভাগ রেনেটা কোম্পনী জেলা প্রতিধিনি কামরুল ইসলামকে লিখিত ভাবে সর্তক করেন। তারপরও তারা কর্ণপাত করেনি। দুপুরে রেনেটা কোম্পনীর বিক্রয় প্রতিনিধি রনজিৎ বিশ্বাস বাগেরহাট সদর উপজেলার কাঠি-গোমতী গ্রামের খামারী মনোয়ার হোসেনের একটি অসুস্থ গরু দেখে চিকিৎসাপত্র প্রদান করেন। খামারী বিষয়টি সদর উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমরান হোসেনকে অভিযোগ করলে কাঠি-গোমতী গ্রামে ভ্র্যম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। গবাদিপশু খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর
সোনাইমুড়ী উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে আহত করেছে
বখাটেরা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, কলেজে দুই
গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম
নাইমুল হোসাইন রিফাত (১৮)। সে উপজেলার সোনাইমুড়ী কলেজের একাদশ শ্রেণির
বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর
জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী কলেজের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিন আগে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে ইভটিজিং
করে বখাটেরা। তখন ওই ঘটনায় প্রতিবাদ করে স্থানীয় কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম
ভূঁইয়ার ছেলে রিফাত। এ ঘটনার জের ধরে দুপুর দেড়টার দিকে ৮-১০ জন বহিরাগত
বখাটে সোনাইমুড়ী কলেজে প্রবেশ করে। এরপর তারা রিফাতের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ
করে তাকে খুর দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
নোয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য
মাহফুজুর রহমান বলেন, রিফাতের উপর হামলাকারীরা সবাই বখাটে বহিরাগত। রিফাত
ইভটিজিং নিয়ে বখাটেদের বিরুদ্ধে কথা বলায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে কলেজের
শিক্ষার্থীরা রাসেল নামে এক হামলাকারীকে আটক করে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
করে। রিফাত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
রয়েছে।
সোনাইমুড়ী কলেজের অধ্যক্ষ কে এম শফিকুর রহমান বলেন,
বহিরাগত বখাটেরা কলেজের শ্রেণি কক্ষে ঢুকে রিফাতকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে
জখম করেছে। আমরা তখন যোহরের নামাজে ছিলাম। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক এসে ঘটনার
মূল হোতা রাসেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি।
সোনাইমুড়ী থানা
পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান উদ্দিন বলেন, খবর
পেয়ে পুলিশ আহত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় উভয়ে
আহত হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কলেজে দুই
পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ
করেনি। তাই এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর
চাটখিলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার
থেকে একটি একনলা বন্দুক ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার শফিকুল ইসলাম (৪৫) উপজেলার দক্ষিণ বদলকোট গ্রামের মৃত সেকান্দার মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার
(৯ মে) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের বাইশসিন্দুর গ্রামের
বদলকোট-দশঘরিয়া সড়কের পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চাটখিল থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন,এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাগেরহাট প্রতিবেদকঃ
বাগেরহাটের
চিতলমারী উপজেলার নালুয়া এলাকায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আব্দুল জব্বার
শেখ (২৯) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। নিহত আব্দুল জব্বার শেখ চিতলমারী
উপজেলার গ্রামের আব্দুল হক শেখের ছেল।
সোমবার (০৮ মে) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর জেলার কোতয়ালী থানার সাখারিগাতী এলাকা থেকে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার গোড়ানালুয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে সবুজ মুন্সি(৩০) ও তার বাবা ডাবলু মুন্সি(৫৫) এবং ভাই দ্বীন ইসলাম ওরফে আকাশ মুন্সি (২৬)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।আসামীদের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৬ খুলনার সহকারী পরিচালক মিডিয়া তারেক আনাম বান্না বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আব্দুল জব্বার শেখ হত্যা মামলার মূল আসামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবা ও দুই ছেলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আসামীদের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, তিন আসামীকে র্যাবের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
চিতলমারী এলালায় মাদ্রাসা পড়ুয়া এক কিশোরীকে স্থানীয় বখাটে দ্বীন ইসলাম মুন্সি প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। ২৫ এপ্রিল উক্ত কিশোরী দর্জি বাড়ি থেকে বোরকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে দ্বীন ইসলাম তাকে বিভিন্ন ধরণের কু-প্রস্তাব দেয়। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে শ্লীলতাহানী করে ও চড় থাপ্পর মারে। কিশোরী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পরিবারের কাছে জানায়। কিশোরীর চাচাতো ভাই ভিকটিম আব্দুর জব্বার শেখ(৩৫) বখাটে দ্বীন ইসলামের বাড়ীতে গিয়ে উক্ত ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করলে আসামীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়। গেল ০৫ মে রাতে ভিকটিম আব্দুর জব্বার শেখ ও তার শ্যালক রাজিব শেখ চিতলমারী উপজেলার কলিগাতী বাজার থেকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওঁত পেতে থাকা বখাটে আসামী দ্বীন ইসলাম, তার ভাই দেলোয়ার ও বাবা ডাবলু মুন্সিসহ তাদের সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জব্বার শেখ ও রাজিব শেখকে গুরুতর জখম করে। পরে আব্দুল জব্বার শেখ ও রাজিব শেখকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জব্বার শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজিবকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজিব ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।