বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাট
পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান পানি সংকট, নানা অনিয়ম ও নাগরিক সুবিধার
দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নাগরিকরা। সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে পৌরসভার বিভিন্ন
ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি
পালন করেন।
এসময় বক্তব্য
দেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এসকে হাসিব,
নাগরিক কমিটির নেতা জাহিদ হাসান পলাশ, বিএনপি নেতা শহিদুজ্জামান ভ’ট্র.
পৌরসভার বাসিন্দা পারিজাত কাজল, নাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা
বলেন, গত ১৫ বছরে বাগেরহাট পৌরসভায় কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। পৌর
এলাকার রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে, নাগরিকরা প্রয়োজনীয় মৌলিক সুবিধা
পাচ্ছেন না। তবুও নিয়মিত কর ও ট্যাক্স পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের
অভিযোগ, "পৌরসভায় পানির তীব্র সংকট রয়েছে। আমরা একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে
অনুরোধ করেছি এই সমস্যার সমাধান করতে, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।"
এছাড়াও
বক্তারা অভিযোগ করেন, পৌরসভার বাসাবাড়িতে নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত হোল্ডিং
ট্যাক্সের চেয়ে বেশি ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে আবার সেই কর
কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা স্পষ্টত দুর্নীতি।
পৌরসভার
সাবেক মেয়র ও বর্তমান কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিক্ষাভ
কারীরা বলেন, "বাগেরহাট পৌরসভার প্রতিটি দপ্তরে দুর্নীতি চলে আসছে। কেউ যদি
এর প্রতিবাদ করে, তাহলে তাকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। বিগত ১৫ বছর ধরে
নাগরিকদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। এখন আর আমরা এসব মেনে নিব না।
বিক্ষোভকারীরা
পৌর প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি জানান। তারা বলেন,
যদি দ্রুত পানির সংকটসহ অন্যান্য নাগরিক সমস্যা সমাধান করা না হয়, তবে
তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
সুশাসনের
জন্য নাগরিক-সুজন, বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এসকে হাসিব বলেন, একটা
পৌরসভায় এত অসুবিধা থাকতে পারে, এটা বাগেরহাট শহরে বসবাস না করলে বোঝা যাবে
না। পানি নেই, সড়কে চলার উপায় নেই, অতিরিক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স,
জন্মনিববন্ধন, মৃত্যু সনদ, ট্রেডলাইসেন্স প্রদান সব খানেই অসঙ্গতি। এক কথায়
নাগরিকরা পৌরসভা থেকে কোন সেবা পান না। পৌর কর্তৃপক্ষ যদি সেবা দিতে না
পারেন, তা হলে পৌর প্রশাসকসহ কর্মচারীদের পদত্যাগ করার দাবি জানান এই
নাগরিক নেতা।