সাব্বির আলম বাবু, ভোলাঃ
জনসচেতনতার অভাবে ভোলায় এক কোটি টাকার জিও ব্যাগ ও টিউব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত এক বছরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভোলা সদরের রাজাপুর, ধনিয়া ও ভেদুরিয়া পয়েন্টের এসব ব্যাগ। এতে মেঘনা-তেঁতুলিয়ার ভাঙনও বাড়ছে বলে মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত এক বছরে ২০০ মিটার এলাকার প্রায় ৩৫০টি টিউব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলেদের ইঞ্জিনচালিত নৌকা-ট্রলারের গ্রাফি ও বৈঠা দিয়ে ব্যাগ ফুটো করায় এসব ব্যাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ব্লকে লঞ্চ বা কার্গো ভেড়ানোর কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভাঙন থেকে রক্ষার এসব উপকরণ। নদীর তীরের জিও ব্যাগ বা টিউব ক্ষতির জন্য জেলেরা বেশি দায়ী বলে মনে করছে পাউবো।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভোলার উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে ২০টি মৎস্যঘাট। এসব ঘাটে বা তার নিকটবর্তী এলাকায় মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলার নোঙর করে থাকে। ঘাটে ভিড়তে গিয়ে গ্রাফি নিক্ষেপ করা হয় জিও ব্যাগে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জিও টিউব বা ব্যাগ। জেলে সমিতির সভাপতি এরশাদ ফরাজি বলেন, জেলেদের গ্রাফি ফেলার কারণে কিছু জিও টিউব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এটা ঠিক। তবে যদি জেলেদের নৌকা রাখার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা থাকত তা হলে এমনটি হতো না। তবু আমরা বিভিন্ন সময়ে জেলেদের সতর্কতার সঙ্গে ট্রলার নোঙর করতে বলে থাকি। যাতে জিও ব্যাগ বা টিউব ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, গত এক বছরে ভোলায় এক কোটি টাকার জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলে ও নদীর তীরের বাসিন্দারের অসচেতনতার কারণে এমনটি হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।