মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে পাট খেত থেকে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার একটি পাটখেত থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুরের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার। মৃত ওই ব্যাক্তির নাম রহিম মোল্লা (৬৫) সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।
ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, গেছে গত ২৫ মে ভোরে বাড়ি থেকে ফজরের নামাজ পরতে বের হয়ে আর ফিরে আসেন নি। তিনি তবলিক জামাত করতেন বলে পরিবারের লোকজন তার বাড়িতে না ফিরে আসা নিয়ে কোন চিন্তা করেন নি। তারা ভেবেছেন চিল্লায় গেছেন রহিম মোল্লা।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ওই পাটখেত সংলগ্ন পাশের জমিতে ধান কাটতে গিয়ে ওই বৃদ্ধের লাশ দেখতে পান কয়েকজন কৃষক। মৃত দেহ থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল। তারা পুলিশকে খবর দিলে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল ফরিদপুরের মর্গে প্রেরণ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার আরো বলেন, মৃতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন কিংবা তাকে হত্যা করা হয়েছে এ জাতীয় কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ওই বৃদ্ধ দেনার দায়ে জর্জরিত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ঋণের হাত থেকে বাঁচার জন্য তিনি এ আত্মহণনের পথ বেছে নেন।
সুমন রঞ্জন সরকার আরও বলেন, বাড়ি থেকে আনুমানিক ২৫০ মিটার দূরে একটি পাটখেত থেকে ওই ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলাদায়ের করা হয়েছে।