শেখ সোহেল,বাগেরহাট:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাদীকে ধর্ষণ ও দুই নাতীকে হত্যা মামলায় বাচ্চু মৃধা (৫৮) নামের এক আসামীকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ মে) দুপুরে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোঃ নূরে আলম আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
একই সাথে দন্ডাদেশ প্রাপ্ত বাচ্চু মৃধাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের
কারাদন্ড প্রদান করেন তিনি। এছাড়া অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এই মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী খোকন খানকে বেসকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
দন্ডাদেশ প্রাপ্ত বাচ্চু মৃধা মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা এলাকার মৃত বাকের মৃধার ছেলে।খালাসপ্রাপ্ত খোকন খান একই উপজেলার সমাদ্দারখালী এলাকার মৃত আছমত খানের ছেলে।
হত্যার স্বীকার মিরাজুল (০৯) ও মোঃ ইমন ওরফে রিয়াজুল ইসলাম (০৭) মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা গ্রামের লোকমান হোসেন বাবুর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, ২০১৪ সালে ১১ সেপ্টম্বর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা
গ্রামের ফরহাদ মৃধার বসত ঘরের বারান্দায় দাদীর সাথে মিরাজুল ও রিয়াজুল ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১১টার দিকে বাচ্চু মৃধাসহ কয়েকজন এসে তাদের দাদীকে ধর্ষণ করেন।
আসামীদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে বিষয়টি টের পেয়ে মিরাজুল ও রিয়াজুলের ঘুম ভেঙ্গে যায়। দাদীকে মেরে ফেলছে বলে চিৎকার করে তারা। তখন আসামীরা মিরাজুল ওরিয়াজুলকে মেরে বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয়।
তাদের দাদীকেও মারধর করে মৃত ভেবে ফেলে
রেখে চলে যায় হত্যাকারীরা। পরের দিন হত্যার
স্বীকার দুই শিশুর বাবা লোকমান হোসেন বাবু বাদী হয়ে বাচ্চু মৃধাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মোরেলগঞ্জ থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ১০ জুলাই মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। পরবর্তীতে ২০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন ও তথ্য প্রমানের বিরুদ্ধে আদালত এই মামলায় বাচ্চু মৃধাকে আমৃত্যু কারাদন্ড প্রদান করেন। আসামী খোকন খানকে খালাস প্রদান করেন।