কাজী তানভীর মাহমুদ,রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদের জন্য জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন সামছুল সালেহীন অপু।
বুধবার (২৫ মে) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জীবন বৃত্তান্ত জমা নিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী ও উপ-দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান বাপ্পী।
সামছুল সালেহীন অপু সাবেক রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি। রাজবাড়ীর ছাত্রলীগ রাজনীতির একটি পরিচিত মুখ। রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম থেকে শুরু করে দলীয় কর্মকাণ্ডে তার সবর উপস্থিতিই প্রমাণ করে তিনি ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী।
অপু রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুরের মৃত আব্দুর রশিদ সরদার ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএতে অধ্যায়ণরত।
জানা গেছে, সামছুল সালেহীন অপু বঙ্গবন্ধু আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ৭ম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় আওয়ামী ছাত্র রাজনীতির মিছিল-মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ শুরু করেন। এরপর ২০১১ সালে জেলা ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে মনোনিত হন, কিন্তু ওই কমিটি অনুুমোদিত হয়নি। ২০১৬ সালে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সদ্য বিদায়ী জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন অপু। বর্তমানে জেলা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের হাতে সভাপতি পদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
সামছুল সালেহীন অপু বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময় থেকে ছাত্রলীগের মিছিল মিটিংয়ে যাওয়া শুরু করি। পরবর্তীতে কলেজ যাবার পর ছাত্র রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হই। এরমাঝে বিভিন্ন সময় অনেক চড়াই উৎরাই উপেক্ষা করে এখন পর্যন্ত রাজনীতি করে আসছি। বর্তমানে আমার রাজনীতির অভিভাবক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী রাকিবুল হোসেন শান্তনু,৷ যাদের নের্তেৃত্বে জেলায় ছাত্রলীগ এখন সু-সংগঠিত। ২০১১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দ্বায়িত্ব পালন করেছি। এ সময় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় ছাত্রলীগকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। এবং সেই লক্ষ্যেই আজ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদের জন্য জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছি। আশা করছি আমার অতীত কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন পাবো। তবে পদ না পেলেও আমি যেভাবে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড পালন করেছি, ঠিক তেমনি ভাবে আগামীতেও পালন করবো।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারন সম্পাদক পদে ২০ জন সহ জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন মোট ৩০ জন পদ প্রত্যাশী।
সভাপতি পদে সামছুল সালেহীন অপু, জালাল পাঠান, সাজিদ মাহমুদ খায়রুল, জাকির হুসাইন, জাহিদুল ইসলাম, আরিফ শেখ, শাহিন শেখ, কামাল খান, আরফানুল হক অন্তর এবং সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ ইমরান, রুহুল আমিন, রিয়াদ রায়হান ইফতি, জুয়েল রানা, খন্দকার সাদমান সাকিব রাফি, অর্নব, দেব জ্যোতি নাগ, কাউসার মাহমুদ, মনিরুজ্জামান শুভ, শফিকুল ইসলাম, রাকিব শেখ, জুয়েল হোসেন, রবিউল ইসলাম মুন্নু, সমিক মন্ডল, সাব্বির হাসান, জুবাইয়ের, আল আমিন বিশ্বান নয়ন।