সাব্বির আলম বাবু, ভোলাঃ
ঝড়ের আশংকায় ক্ষেতের আধা-পাকা ধান কর্তন শুরু করে দিয়েছেন ভোলার কৃষকরা। কৃষি অফিসের পরামর্শে ঝড়ের হাত থেকে ফসল বাচাতে রোববার সকাল থেকে ধান কাটা শুরু করেন তারা। এ বছর বোররো ফলন ভালো হওয়ায় রঙ্গিন স্বপ্ন দেখলেও ঝড়ের পূর্বাভাসে অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন তারা। বিগত সময় ঝড়ে কৃষককের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো। সেই ক্ষতির সুখে যাতে পড়তে না হয় সেজন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ফসল ঘরে তুলছেন তারা। কেউ ধান মাড়াই কেউবা বস্তায় বন্দি করা নিয়ে ব্যস্ত।
ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের কৃষক মোঃ সোহেল বলেন, আমি এ বছর ৮ গন্ডা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। এরমধ্যে ৫ গন্ডা ধান কেটে নিয়েছি, কারন বিগত সময় ঝড়ে ধানের ক্ষতি হয়েছিল। এবার যাতে ধান ক্ষতি না হয়, সে জন্য আগে থেকে ধান কেটে নিয়েছে। যদিও ধানের ৮০ ভাগ পেকেছে।
আরেক কৃষক ফজলু বলেন, ঝড় হবে এমন খবর পেয়ে ক্ষেতের ৪ গন্ডা জমির ধান কেটে ফেলা হয়েছে। ধানের ফলন ভালো, কিন্তু পুরোপুরি পাকেনি। তবুও কাটছি যদি ঝড়ে ক্ষতি হয়। কৃষক আশিক বলেন, ৭ গন্ডার জমির বোরো ধান ঘরে তোলার প্রস্ততি নিয়েছি। ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান মোঃ ওয়ারিসুল কবীর বলেন, ৮০ ভাগ ধান পেকেছে, তাই এই ধান কাটলে কোন ক্ষতি নেই। আমরা ঝড়ের আভাস পেয়ে কৃষকদের ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছি। যাদের ধান পেকেছে তারাই ধান তুলবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানান, এ বছর জেলায় ৬৬ হাজার ৬৫৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। একদিনে কর্তন হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমির ধান। এদিকে আরও ৫০ হাজার হেক্টর ফসল ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তিত কৃষি বিভাগ। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, খুব দ্রুত ধান কাটা শেষ হবে। আগামী ১০ মে’র মধ্যে ধানসহ সকল রবিশস্য ঘরে তুলতে পারবে।